‘এটা কোন ধরনের বিচার? কেন বেছে বেছে শাস্তি দেওয়া হল?’ গুলবার্গ হত্যা মামলায় শাস্তির রায় শোনার পরই আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তিনি বলেন, “আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম, এই রায়ের পর আবার সেখানেই ফিরে গেলাম। তবে এটাও বলে রাখি, আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি।” তিনি জানান, তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন।
এই মামলার রায়ে হতাশ সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাঢ়। এই রায়কে ‘দুর্বল’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিস্তা জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে ফের আবেদন জানানো হবে।
শুক্রবার এই গণহত্যা মামলার রায় দেয় বিশেষ আদালত। ২০০২-এর এই মামলায় মোট ৬০ জন অভিযুক্ত ছিলেন। প্রমাণের অভাবে গত ২ জুন ৩৬ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি ২৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি শোনার অপেক্ষায় মুখিয়ে ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের স্ত্রী জাকিয়া জাফরি-সহ নিহতের পরিজনেরা। কিন্তু ১১ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ দিন মামলা শুরু হতেই সরকারি কৌঁসুলি দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানান। বিচারক পি বি দেশাই এই হত্যাকাণ্ডকে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি খারিজ করে দেন।
আরও পড়ুন:
গুজরাতের গুলবার্গ গণহত্যাকাণ্ডে সর্বোচ্চ সাজা হল যাবজ্জীবন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy