এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র আওহাদ। ছবি পিটিআই।
সদ্যই জেল থেকে বেরিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের এনসিপি বিধায়ক জিতেন্দ্র আওহাদ। তার পরই মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দু’টি অভিযোগে মামলা রুজু করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। যার মধ্যে এক মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। যদিও জিতেন্দ্রর অভিযোগ, তাঁকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। রাজ্যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সোমবারই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন শরদ পওয়ারের দলের এই সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দলবল নিয়ে মরাঠি সিনেমা ‘হর হর মহাদেব’-এর প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আওহাদ অবশ্য দাবি করেন, সিনেমাটিতে ছত্রপতি শিবাজিকে ভুল ভাবে দেখানোর বিরুদ্ধেই তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বলপ্রদর্শন, প্ররোচনা দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বারের অভিযোগটি করেছেন মুম্বইয়ের এক মহিলা। মহিলার অভিযোগ, একটি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এবং জিতেন্দ্র উপস্থিত ছিলেন। সে সময় নাকি ইচ্ছা করে তাঁকে পিছন থেকে ঠেলে দেন জিতেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের মুঁমরা থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন মুঁমরা-কালওয়া কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক জিতেন্দ্র। সোমবার সকালেই এ নিয়ে টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, আমি পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তার পর তাঁর সংযোজন, “আমি গণতন্ত্রের এই হত্যা দেখতে পারছি না।” জিতেন্দ্রর অভিযোগ, উপরমহলের চাপেই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হচ্ছে। উপরমহল বলতে তিনি রাজ্যের একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
জিতেন্দ্রর দল শিবসেনাও বিজেপি এবং শিন্ডে-পন্থী শিবসেনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা সোমবার সকালেই টায়ার জ্বালিয়ে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে অবশ্য জানিয়েছেন, জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনীতি নেই। পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy