অভিনয়ের পেশায় থেকে এত প্রচার হয়তো পাননি আঙুরলতা, যা ভোটের ময়দানে নেমে পেলেন। তবে সেই খ্যাতির বিড়ম্বনা শুধু তাঁকে নয়, সদ্য সরকার গড়া বিজেপিকেও নাজেহাল করছে।
ভোটের ময়দানে নেমেই কংগ্রেস প্রার্থী গৌতম বরাকে হারানো থেকেও কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপির বটদ্রবার বিধায়ক আঙুরলতা ডেকা।
২০০৮-তে অসমের ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারে বেনজির ভুট্টোর ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম নজর কাড়েন তিনি। পরে জুনদা ইমান গুন্ডা, বাঁকর পুতেক, হিয়া দিবা কাক, সূর্যাস্তর মতো ছবি ও নাটকে অসমের মন কাড়েন আঙুর। ২০১৫-তে অভিনেতা আকাশদীপের সঙ্গে বিয়ে। সেই সূত্রেই বটদ্রবা থেকে দাঁড়ানোর টিকিট মেলে। সিনেমা-নাটক ছেড়ে রাজনীতিতে নেমেই গৌতম বরাকে হারিয়ে চমকে দেন আঙুরলতা।
জয়ের আনন্দের রেশ না কাটতেই ইন্টারনেট, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়ে আঙুরলতার মডেলিং, অভিনয় ও পোর্টফোলিওর ছবিগুলি। বলিউড পরিচালক রামগোপাল বর্মা
আঙুরলতার ছবি দিয়ে টুইট করেন— ‘বিধায়ক এমন হলে আচ্ছে দিন আ গয়া হে। আঙুরলতা ও মোদীকে ধন্যবাদ।
এই প্রথম রাজনীতির প্রেমে পড়লাম।’ বিতর্কের ঝড় ওঠায় তিনি ফের লেখেন, ‘‘প্রশংসাকে নেতিবাচক ভাবে নেওয়া হল। জানি না এটা ইংরেজির অভাব না বুদ্ধির অভাব।’’
রাজ্যের অভিনেতা-অভিনেত্রী ও রাজনীতিকরা আঙুরলতা সম্পর্কে এই বিতর্কের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিজেপির বক্তব্য, এক জন মহিলাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য কাম্য নয়। এতে নারী জাতির অপমান হচ্ছে। রামগোপালের বিরুদ্ধে মন্তব্যেও ভরে
গিয়েছে টুইটার, ফেসবুক। ঘটনার জেরে দুঃখ পেলেও ভেঙে পড়েননি আঙুরলতা। বন্ধ করেননি তাঁর ফেসবুকও। অবশ্য বন্ধ করেছেন ফোন ধরা, এসএমএস-এ জবাব দেওয়া। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানান, দল তাঁর সঙ্গে আছে। সমাজে এমন বিভিন্ন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেই লড়ে এগোতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy