Advertisement
E-Paper

সংসদের রংবোমা হানার জের! বৃদ্ধি নিরাপত্তায়, মোতায়েন অতিরিক্ত সিআইএসএফ কর্মী

ডিসেম্বরে রংবোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দেয়। অতীতে সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকত দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩২
Over 250 central security personnel to be deployed at Parliament

সংসদের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি হল। — ফাইল চিত্র।

সংসদের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করতে চলেছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ)। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উন্নত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরও ২৫০ জন সিআইএসএফ কর্মী সংসদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে আনা হচ্ছে।

গত বছর ডিসেম্বরে রংবোমা হামলার ঘটনার পর থেকেই সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার পরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে দিল্লি পুলিশকে সরিয়ে সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতীতে সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে থাকত দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। আর এক কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের একটি দল সংসদ চত্বর লাগোয়া বাইরের অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। এ ছাড়াও আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য দমকল আর সিআইএসএফের ইউনিট থাকত সংসদ ভবন চত্বরে। সংসদের সুরক্ষা সংক্রান্ত নজরদারির দায়িত্বে ছিল দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ইন্টেলিজেন্স উইং)।

তবে ১৩ ডিসেম্বর রংবোমা হানার ঘটনার পরই সংসদ ভবন চত্বরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে আনা হয় সিআইএসএফ-কে। এ বার সেই নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সিআইএসএফ-এর ডিরেক্টর নিনা সিংহ এই বাড়তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় অনুমোদন দিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে সংসদের নির্দিষ্ট প্রবেশ এবং বাহির গেটে ১৪০ জন সিআইএসএফ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষের পথে মোট চারটি বলয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেই চার স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়েই ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর লোকসভায় ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি। ছুড়েছিলেন ‘ক্যানিস্টার সেল’। কিন্তু চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের কোথাওই তাঁদের জুতোয় লুকিয়ে রাখা রংবোমার অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। ঠিক একই সময় সংসদ ভবনের বাইরের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঢুকে রংবোমা নিয়ে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ স্লোগান তুলেছিলেন অমল শিন্ডে এবং নীলম আজাদ। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

parliament Security
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy