শবরীমালা মন্দিরের বিগ্রহ থেকে সোনা ‘উধাও’-এর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কেরল হাই কোর্ট। রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতরকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছরের মধ্যে মন্দিরের বিগ্রহের ‘ওজন হ্রাস’ পেয়েছে। আর তা থেকেই সন্দেহের উদ্রেক হয়। তার পরই এই বিষয়ে মামলা হয়। বুধবার বিচারপতি রাজা বিজয়রাঘবন ভি এবং বিচারপতি কেভি জয়কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। তখন আদালত নির্দেশ দেয়, দ্রুত এই বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৯ সালে বিগ্রহের ওজন ছিল ৪২ কেজি ৮০০ গ্রাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিগ্রহের ওজন ৩৮ কেজি ২৫৮ গ্রাম। কী ভাবে বিগ্রহের ওজন হ্রাস পেল, তা জানতে চেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ১৯৯৯ সালে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ছ’বছরের মধ্যে বিগ্রহ মেরামতের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৯ সালে। ত্রাবাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) বিগ্রহের মেরামতের ব্যবস্থা করে। এবং তা করা হয় স্পেশ্যাল কমিশনার বা আদালতের অনুমোদন ছাড়াই। লাইভ ল-এর প্রতিবেদন বলছে, চেন্নাইয়ের একটি সংস্থাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হয়। তখনই জানা যায়, বিগ্রহের ওজন হ্রাস পেয়েছে। তার পরই আদালতে মামলা হয়।