হড়পা বানে বিধ্বস্ত উত্তরকাশীর ধরালী এবং হর্ষিল উপত্যকা থেকে গত তিন দিনে ৫৬৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মতলী হেলিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ১১২ জনকে এয়ারলিফ্ট করে দেহরাদূনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আরও ৩০০ জনকে উদ্ধারের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড, ড্রোন এবং গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রেডার।
‘অপারেশন ধরালী’-তে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ), ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং স্থানীয় প্রশাসন। হর্ষিল সেক্টরে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা তৈরি করে আটকে থাকা লোকজনের কাছে পৌঁছোনোর চেষ্টা করছে। মতলী থেকে হর্ষিলে যোগাযোগের জন্য উত্তরাখণ্ড সরকারের চারটি হেলিকপ্টারকে কাজে লাগানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে আছে কি না খুঁজে বার করার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে। ধরালীর সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাঘাট পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমেই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি দীপম শেঠ উত্তরকাশীর বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন। ডিজি আবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতি এবং উদ্ধারকাজ নিয়ে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কের উপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে ধরালী এবং হর্ষিল গ্রামে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে নেমে আসে হড়পা বান। তার জেরে ধরালী গ্রামের একাংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। অনেকে নিখোঁজ।