Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
Himachal Pradesh Rain

বৃষ্টি আর ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু বেড়ে ৮১, হড়পা বানে যুঝছে পঞ্জাব

হিমাচলেই বুধবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তবে এই দুই রাজ্যে বৃষ্টি এখনই থামবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মৌসম ভবন।

ধসে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড। ছবি: পিটিআই।

ধসে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৮:০০
Share: Save:

হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি এ বার হড়পা বানে বিপর্যস্ত পঞ্জাব। হিমালয়ের দুই রাজ্যের পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তার জেরে রাজ্যের হোসিয়ারপুর, গুরুদাসপুর এবং রূপনগর-সহ বেশ কিছু জেলায় হড়পা বান নেমে আসে। তার সঙ্গে পং এবং ভাকরা বাঁধ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে উদ্ধার এবং ত্রাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান।

অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি, ধস এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়েছে। শুধু হিমাচলেই বুধবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। তবে এই দুই রাজ্যে বৃষ্টি এখনই থামবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন মৌসম ভবন। আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। হিমাচলের মুখ্যসচিব ওঙ্কারচাঁদ শর্মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “গত তিন দিনে ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন নিখোঁজ। রবিবার রাত পর্যন্ত ৫৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।”

রবিবার থেকে হিমাচলে বৃষ্টির তাণ্ডব বেড়েছে। শিমলা-সহ রাজ্যের বেশির ভাগ জেলায় মুহুর্মুহু ধস নেমেছে। রাজধানী শিমলায় তিনটি এলাকা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধসের জেরে। সেগুলি হল, সামার হিল, ফাগলি এবং কৃষ্ণনগর। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তথ্য বলছে, গত ২৪ জুন থেকে বর্ষার এই মরসুমে হিমাচলে ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮ জন নিখোঁজ। ডেপুটি কমিশনার নিপুণ জিন্দল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কাংড়া জেলার ইন্দোরা এবং ফতেহপুর থেকে ১,৭৩১ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উনা, হামিরপুর বিলাসপুর, কাংড়া, মান্ডি, শিমলা, সোলান এবং সিরমুরে আগামী দু’দিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।

শিমলার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সুরেন্দ্র পল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এই মরসুমে গত ৫৪ দিনে ৭৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। উত্তরাখণ্ডের নৈতিতাল, চম্পাবত, উধম সিংহ নগর, দেহরাদূন, টিহরী, পৌড়ী এবং আলমোড়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার দেহরাদূনের বিকাশনগর তহসিলের লাঙ্ঘা জাখান গ্রামে ১৫টি বাড়ি ধসে চাপা পড়ে গিয়েছে। তবে আগে থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়ায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ছাড়াও ধসের কারণে বন্ধ পৌড়ী-কোটদ্বার-দুগাড্ডা জাতীয় সড়ক। পিপলকোটির কাছে হৃষীকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের বিশাল অংশ হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE