—ফাইল চিত্র।
এফআইআর-এ অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি মিলে পিটার ও ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের থেকে ৩.৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। কিন্তু সিবিআই আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে গত কাল যে চার্জশিট দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাবা-ছেলে মিলিয়ে চিদম্বরমরা ঘুষ নিয়েছেন মোট ৯.৯৬ লক্ষ টাকা।
এফআইআর ও চার্জশিটে ঘুষের অঙ্কে এই বিস্তর ফারাক নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, চিদম্বরমের মতো প্রথিতযশা আইনজীবী মাত্র ৯ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে সিবিআই অভিযোগ তুলছে! কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারির কথায়, ‘‘ঘুষের অঙ্ক ৯.৯৬ লক্ষ টাকা বলে অভিযোগ যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, তিনি দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী। এটা রসিকতা হতে পারত, যদি-না তিনি ইডি-র হেফাজতে থাকতেন।’’
প্রশ্নের মুখে সিবিআই আজ ব্যাখ্যা দিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। যেটুকু অর্থের হদিস মিলেছে, সেটাই চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে। ভবিষ্যতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হবে। তবে খুব শীঘ্রই যে সেই চার্জশিট পেশ করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না সিবিআই কর্তারা। কারণ, পাঁচটি দেশে এই মামলার তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ‘লেটার রোগেটারি’ পাঠানো হয়েছে। ইন্দ্রাণী অভিযোগ তুলেছিলেন, বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা মোট ৫০ লক্ষ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। তার তদন্ত শেষ হয়নি।
চিদম্বরমকে জেলে বন্দি রাখার দাবি জানিয়ে সিবিআই আদালতে অভিযোগ তুলেছিল, তিনি তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছেন। সাক্ষীদের বা অর্থ মন্ত্রকের অফিসারদের প্রভাবিত করেছেন। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ শুক্রবার সিবিআইয়ের চার্জশিটে নেই। সিবিআই সূত্রের যুক্তি, এ বিষয়েও তদন্ত চলছে।
যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই চিদম্বরমের টুইটার হ্যান্ডেলে আজ দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দু’টি তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হল, একটি সমীক্ষায় অর্ধেকের বেশি মানুষ জবাব দিয়েছেন, চাকরির পরিস্থিতি খারাপ। ৩০ শতাংশর বেশি বলেছেন, আরও খারাপ হবে। অর্থাৎ, চাকরির সঙ্কট তীব্র। দ্বিতীয় তথ্য, গত সাত বছরে দেশে গবাদি পশুর সংখ্যা ৬ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ, সরকারের গরু-প্রেম শুধু কাগজে-কলমে। টুইটে চিদম্বরম জানিয়েছেন, তাঁর কথা মতো পরিবারের তরফে এই টুইট করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy