হাফলং সরকারি হাসপাতালে শুরু হল পেনলেস ডেলিভারি (ব্যাথাহীন প্রসব) ব্যবস্থা। দক্ষিণ অসমে এই প্রথম এমন ব্যবস্থা চালু হল। বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসক রোনাল্ড বাটারির তত্ত্বাবধানে নতুন পদ্ধতিতে হাফলং সরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকটি নবজাতক সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। রোনাল্ড বাটারি ব্যাথাহীন স্বাভাবিক প্রসব করাচ্ছেন। তার জন্য হাসপাতালে একটি পেনলেস লেবার রুমও খোলা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, হাসপাতালে একেবারে সদ্যোজাতদের চিকিৎসার জন্য একটি ‘সিক নিও-নাটাল কেয়ার ইউনিট’-ও (এসএনসিইউ) চালু করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত করতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাফলং সরকারি হাসপাতালের শয্যা-সংখ্যা দ্বিগুণ করতে নতুন বাড়িও তৈরি হচ্ছে। পার্বত্য পরিষদের স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী সদস্য স্যামুয়েল চাংসন পেনলেস লেবার রুম ও এসএনসিইউ উদ্বোধন করার পাশাপাশি আজ মাইবাং কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও দিয়ুংমুখ মিনি প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবারও উদ্বোধন করেছেন। চাংসন বলেন, রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা পাহাড়ি জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানান, এরপর হাফলং সরকারি হাসপাতালে একটি ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট খোলা হবে। ইতিমধ্যেই সরকার তার জন্য অর্থ অনুমোদন করেছে বলেও তিনি জানান।
এ দিকে, পেনলেস ডেলিভারি বা এপিডিউরাল ডেলিভারি পদ্ধতি আগে দেশের অন্যত্রও শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু এই পদ্ধতি তেমন সাড়া পায়নি। বিশেষজ্ঞরা এই পদ্ধতি নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন ওঠে শিশু ও মায়ের উপর এর পরবর্তী পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে। যে কারণে দেশের অন্য কোথাও এখন আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেলেও প্রত্যন্ত পাহাড়ি জেলায় সেই পদ্ধতি চালু করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ডিমা হাসাওয়ের মতো পিছিয়ে পড়া অনুন্নত জেলা বলেই কি এখানে এই পদ্ধতির ‘ট্রায়াল’-এর অনুমতি দিল বিজেপি সরকার?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy