রাষ্ট্রপুঞ্জে আবার কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সরব হল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে সিন্ধু চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিধিভঙ্গের অভিযোগও তোলা হল। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার কাশ্মীরের জনতার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে।
ইশাক বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীর রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সবচেয়ে পুরনো সমস্যাগুলির মধ্যে একটি। এটি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত একটি অঞ্চল, যার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি রাষ্ট্রপুঞ্ডজ নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুসারে করা হবে।’’ কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের মৌলিক এবং অবিচ্ছেদ্য অধিকারের কোনও বিকল্প হতে পারে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি পদটি পাকিস্তানের হাতে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড-বিতর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোণঠাসা হয়ে পড়া ইসলামাবাদ নতুন করে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে জল ঘোলা করতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই বক্তৃতায় ভারতের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করারও অভিযোগ তুলেছেন ইশাক। তিনি বলেন, ‘‘দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে জলবণ্টনের লক্ষ্যে ৬৫ বছর আগে সিন্ধু চুক্তি সই হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক ভাবে পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের জন্য জলপ্রবাহ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে একতরফা ভাবে এই চুক্তি স্থগিত রেখেছে ভারত।’’
আরও পড়ুন:
গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী পর্যায়ে সংঘর্ষবিরতি হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে কখনওই সিন্ধু জলচুক্তি পুনর্বহাল করবে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি খাল খনন করে পাকিস্তানে প্রবাহিত জল রাজস্থানে নিয়ে যাব। পাকিস্তান অন্যায় ভাবে যে জল পাচ্ছে, তা আর পাবে না।’’ শাহের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ভারতকে বেশ কয়েক বার চিঠি পাঠিয়ে চুক্তি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। এ বার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তোলা হল ইসলামাবাদের তরফে।