পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের এক্স হ্যান্ডল ‘ব্লক’ করে দিয়েছে ভারত। এ দেশে ওই অ্যাকাউন্টটির কোনও কার্যকলাপ আর দেখা যাবে না। পাকিস্তানের এই মন্ত্রী ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছিলেন। কিছু দিন আগে সেই আশঙ্কা ব্যক্তও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, পাক গোয়েন্দা সূত্রে তিনি খবর পেয়েছেন যে, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক অভিযান চালাতে পারে ভারত। তারারের ওই মন্তব্যের পরেই ভারতে তাঁর সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হল।
পাক মন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডলটি আদতে সক্রিয় আছে। কিন্তু ভারত থেকে তা খুললে অ্যাকাউন্টে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাতে শুধু লেখা আছে, ‘‘আইনি দাবির প্রেক্ষিতে এই অ্যাকাউন্টটি ভারতে বন্ধ রাখা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
গত বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তারার ভারতের প্রত্যাঘাতের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে মিথ্যা অজুহাত করে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক অভিযান করার কথা ভাবছে।’’ বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরেই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেন পাক মন্ত্রী।
শুধু আশঙ্কা প্রকাশ করেই তারার থেমে থাকেননি। ভারত প্রত্যাঘাত করলে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সে কথাও জানিয়েছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সীমান্ত অঞ্চলে যে কোনও গুরুতর অশান্তির জন্য ভারতকেই দায়ী করা হবে এবং যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দেবে পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার জন্য নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছে পাকিস্তান। সে দিন তারার আরও এক বার দাবি করেন, তাঁর দেশ সন্ত্রাসবাদের ভুক্তভোগী। তাই পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্ত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারতে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। পাক বিমানের জন্য বন্ধ করা হয়েছে ভারতের আকাশসীমা। পাল্টা পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। যার ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের ইউটিউব চ্যানেল ভারত ‘ব্লক’ করে দিয়েছে। পাকিস্তানি শিল্পী, অভিনেতা, তারকা খেলোয়াড়দের সমাজমাধ্যমও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।