ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ভারতের। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভারতে কেউ ওই চ্যানেল খুললে দেখা যাবে একটি নোটিস। তাতে লেখা, “জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে সরকারি নির্দেশে এখানকার বিষয়বস্তু বর্তমানে ভারতে দেখতে পাওয়া যাবে না।” প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক খবর প্রচারের অভিযোগে পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। এ বার নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানের খোদ প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল।
শাহবাজ়ের ইউটিউব চ্যানেল ‘ব্লক’ করার কোনও কারণ আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায়নি কেন্দ্র। তবে গত সোমবার পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ হওয়ার পর সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ওই চ্যানেলগুলিতে পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু প্রচার করা হচ্ছিল। এমনকি মিথ্যা ভাষ্য তৈরি এবং ভারতের সেনাবাহিনী সম্পর্কেও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে ওই চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে। ওই সূত্রে আরও জানা যায় যে, ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তা মেনেই সেগুলিকে ভারতে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। ১৬টি চ্যানেলের তালিকায় ছিল পাকিস্তানের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলও। তা ছাড়া কোপ পড়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলের উপরও।
১৬টি ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কেও পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদনের জন্য সতর্ক করে দেয় কেন্দ্র। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বিবিসি পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার প্রসঙ্গে ‘সন্ত্রাসবাদী’ শব্দটি না-লিখে ‘জঙ্গি’ হামলা বলে উল্লেখ করে। বিষয়টি ভাল ভাবে দেখেনি নয়াদিল্লি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় বিবিসি-র ভারতীয় শাখার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে একই অভিযোগে মার্কিন সরকারের কোপের মুখে পড়েছিল সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’।