ভারতের সঙ্গে শান্তিস্থাপনের আলোচনার জন্য প্রস্তুত পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাঁকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে। শরিফ ভারতকে শান্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বানও জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের আইনসভার উচ্চকক্ষ সেনেটে বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার দাবি করেছেন, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১৮ মে, রবিবার পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতি চলবে।
গত ১০ মে ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস্ (ডিজিএমও) ‘হটলাইনে’ কথা বলে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছিলেন। পরে সোমবার আবার তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবারও ‘হটলাইনে’ কথা বলেছেন ভারত এবং পাকিস্তানের ডিজিএমও। সেখানেই সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বিদেশমন্ত্রী দারকে উদ্ধৃত করেছে। বৃহস্পতিবার পাক সেনেটে দাঁড়িয়ে দার বলেছেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে বৃহস্পতিবার ‘মিলিটারি টু মিলিটারি’ আলোচনা হয়েছে। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত সংঘর্ষবিরতি থাকবে।’’ এখনও পর্যন্ত ভারত-পাক কথোপকথন সামরিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে দার এ-ও দাবি করেছেন, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি দুই দেশের অসামরিক নেতৃত্বের হাতে যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘এখন বিষয়টি শুধুই সামরিক যোগাযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত তা অসামরিক নেতৃত্বের আলোচনার পর্যায়েই পৌঁছোবে। আমরা সারা বিশ্বকে জানিয়েছি, আমরা আলোচনা করব।’’ ভারতীয় সেনাও উত্তেজনা প্রশমনে দ্বিপাক্ষিক সহমতের কথা জানিয়েছে বৃহস্পতিবার। সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিম সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি বহাল থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ বিষয়ে পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত একাধিক পদক্ষেপ করেছিল। গত ৬ মে মধ্যরাতে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। প্রত্যাঘাতের এই অভিযানে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়। এর পর পাকিস্তানও পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করে। টানা চার দিন দুই দেশের মধ্যে এই সংঘাত চলেছে। পরে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে দুই পক্ষ।