Advertisement
E-Paper

‘প্রিয়ঙ্কা গাঁধী আয়ি হ্যায়, নয়ী রোশনি লায়ি হ্যায়!’

স্বামী রবার্ট বঢরাকে সদ্য ইডি অফিসে নামিয়ে আচমকাই কংগ্রেস দফতরে চলে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা। অতীতে বহু বার এসেছেন। আজ পা দিলেন নেত্রী হিসেবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৫
মধ্যমণি: দলীয় সমর্থকদের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বুধবার কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে বেরোনোর সময়ে। ছবি: পিটিআই।

মধ্যমণি: দলীয় সমর্থকদের মধ্যে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। বুধবার কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে বেরোনোর সময়ে। ছবি: পিটিআই।

ভিড়ের মধ্যে বুগ্গি মিয়াঁকে দেখে এসপিজি-কে বললেন, ‘‘ওঁকে আসতে দিন। আমাকে এইটুকু বয়স থেকে দেখেছেন।’’ বলেই অমেঠী থেকে আসা দলের প্রবীণ কর্মীকে নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। পিছনে তখন স্লোগান উঠছে, ‘‘প্রিয়ঙ্কা গাঁধী আয়ি হ্যায়, নয়ী রোশনি লায়ি হ্যায়!’’

স্বামী রবার্ট বঢরাকে সদ্য ইডি অফিসে নামিয়ে আচমকাই কংগ্রেস দফতরে চলে এসেছেন প্রিয়ঙ্কা। অতীতে বহু বার এসেছেন। আজ পা দিলেন নেত্রী হিসেবে। ইডি দফতরে স্বামীকে নিয়ে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে মোক্ষম রাজনৈতিক বার্তাটি দিয়েছেন। কংগ্রেস দফতরে পা রেখেই বললেন, স্বামী-পরিবারের পাশে আছেন। ভাই রাহুল গাঁধীকে সম্বোধন করলেন ‘রাহুলজি’ বলে। জানালেন, ‘‘রাহুলজি যে সুযোগ দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ।’’

এআইসিসি অফিসে রাহুলের পাশের ঘরটিই কাল বরাদ্দ করা হয় পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কার জন্য। উল্টো দিকের ঘর দেওয়া হয়েছিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। কিন্তু কাল রাতের বৈঠকের পর উত্তরপ্রদেশে একটিই ‘টিম’-এর ছবি মেলে ধরতে রাহুল আজ প্রিয়ঙ্কার ঘরেই সিন্ধিয়াকে বসতে বলেন। সকালে সিন্ধিয়া সে ঘরে গণেশ পুজো করে দায়িত্ব নেন। বিকেলে সে ঘরেই প্রিয়ঙ্কা।

আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ইডি-র জেরা ছ’ঘণ্টা, স্বামীর পাশে আছি, বললেন প্রিয়ঙ্কা

সকাল থেকে এআইসিসি দফতরের এই ঘরটিই হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা দলের কর্মীদের ‘নিজস্বী-পয়েন্ট’। বিকেলে প্রিয়ঙ্কা আসতেই উপচে পড়ল ভিড়। ঠিক সেই সময়ে এআইসিসিতে সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। রবার্ট নিয়ে মোদীর প্রতিহিংসার রাজনীতির কথাও বলছিলেন। কিন্তু বাইরে প্রিয়ঙ্কা-রব উঠতেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে গেল সে ঘর। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা কর্মীদের একে একে ডেকে নিলেন প্রিয়ঙ্কা। খোঁজ নিলেন সে রাজ্যের হালচাল।

আরও পড়ুন: লড়াই এ বার রাজধানীতে, বিজেপিকে উৎখাত করতে বিরোধী সমাবেশে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা​

এঁদেরই এক জন বুগ্গি মিয়াঁ। আসল নাম হাজি মেহবুব খান। প্রিয়ঙ্কা সংগঠনের খবর নিলেন তাঁর কাছে। সনিয়া-কন্যা সাধারণ সম্পাদক হতেই মায়াবতীর দল ছেড়ে এসেছেন বাহরাইচের সুলতান আহমেদ খান। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন প্রিয়ঙ্কা। জানতে চান এলাকার জাতিগত সমীকরণ, যুবাদের ঝোঁক কোন দিকে। সকলের সঙ্গে ছবি তুললেন প্রিয়ঙ্কা। তোলেন নিজস্বীও। সামনের সপ্তাহ থেকে যে উত্তরপ্রদেশ চষে বেড়াবেন, সে কথাও জানালেন।

সকালে সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভায় জমি শক্ত করা আর ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসা— উত্তরপ্রদেশে এই জোড়া লক্ষ্য নিয়েই এগোতে চান রাহুল।’’ কাল সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে ডেকেছেন রাহুল। সেখানেই পরের রোডম্যাপ তৈরি হবে। লখনউ গিয়ে অখিলেশের সঙ্গেও দেখা করতে চান প্রিয়ঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে শেষ কংগ্রেস সরকার ছিল নারায়ণ দত্ত তিওয়ারির। তাঁর ছেলে রোহিত কংগ্রেসে যোগ দিতে চান। কথা হয়েছে রাহুলের সঙ্গেও।

Priyanka Gandhi Vadra Congress Robert Vadra Priyanka Gandhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy