Advertisement
E-Paper

পাঁচ লক্ষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০০০! ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরকাশীর ধরালীতে, চেক নিতে অস্বীকার গ্রামবাসীদের

স্থানীয় সূত্রে খবর, ধরালীর ৩৫টি পরিবার তাদের সব কিছু হারিয়েছে। কী ভাবে আবার নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়ে তুলবেন, তা নিয়ে দিশাহারা সেই পরিবারের সদস্যেরা। একই অবস্থা হর্ষিল গ্রামেরও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ১১:০৯
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। ছবি: পিটিআই।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। ছবি: পিটিআই।

পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু গ্রামবাসীদের হাতে পাঁচ হাজার টাকার চেক ধরানোয় নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর বিপর্যস্ত এলাকাগুলিতে। গ্রামবাসীরা এই টাকা নিতে অস্বীকার করেছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই টাকায় কী হবে? গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় প্রশাসনের ব্যাখ্যা, এটি ‘তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ’। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরো খতিয়ে দেখে গ্রামবাসীদের হাতে টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট উত্তরকাশীর হর্ষিল উপত্যকার ধরালী এবং হর্ষিল গ্রামে নেমে আসে ভয়ঙ্কর হড়পা বান। যার জেরে অনেকেই গৃহহীন হয়েছেন। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন এই দুই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই সামান্য টাকা দিয়ে তাঁরা কী করবেন। ক্ষতিপূরণের এই টাকা নিয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির। তাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ক্ষয়ক্ষতিকে অনেকটা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে।

উত্তরকাশীর জেলাশাসক প্রশান্ত আর্য জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তিকালীন পদক্ষেপ হিসাবে আপাতত ৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করা হবে। তার পর সঠিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, দুর্যোগের পর মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী ঘোষণা করেছিলেন যাঁরা গৃহহীন হয়েছেন, তাঁদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়াও মৃতদের পরিবারগুলির জন্য একই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি সেই রিপোর্ট জমা দেবে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ধরালীর ৩৫টি পরিবার তাদের সব কিছু হারিয়েছে। কী ভাবে আবার নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়ে তুলবেন, তা নিয়ে দিশাহারা সেই পরিবারের সদস্যেরা। একই অবস্থা হর্ষিল গ্রামেরও। তার মধ্যে ক্ষতিপূরণের সামান্য টাকা পাওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দুই গ্রামে। শনিবার পর্যন্ত বিপর্যস্ত এলাকাগুলি থেকে ৮২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Uttarkashi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy