Advertisement
E-Paper

লালুর সঙ্গ ছাড়তে বার্তা নীতীশকে

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিহারে মহাজোটের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল বিজেপিকে। সেটাই ছিল মোদীর সবথেকে বড় বিপর্যয়। এখন সেই রাজ্যেই মহাজোটের সঙ্কটের মধ্যে আজ নীতীশের পিঠ চাপড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:৪৩
এই জুটিই চাইছেন না মোদী। পিটিআই ফাইল চিত্র

এই জুটিই চাইছেন না মোদী। পিটিআই ফাইল চিত্র

লক্ষ্য ছিল, সংসদ শুরুর আগে বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করা। সেই সুযোগেই লালু-তেজস্বীর সঙ্গত্যাগ করতে নীতীশ কুমারকে সুকৌশলে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। সেখানে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব থেকে কৃষক আত্মহত্যা, বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি সিবিআইয়ের মতো সংস্থার অপব্যবহারের বিষয়ে ঝড় তুলতে একজোট হয়েছে বিরোধী। সেটি আঁচ করেই প্রধানমন্ত্রী আজ সর্বদল বৈঠকে সেই সব বিষয়গুলিই ছুঁয়ে যান। দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মোদী বোঝাতে চান, তাঁর সরকার কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে না। তবে যাঁরা দুর্নীতিতে লিপ্ত এমন নেতাদেরও দূরে রেখে তাঁদের বিরুদ্ধেই একজোট হওয়া উচিত।

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিহারে মহাজোটের কাছে পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল বিজেপিকে। সেটাই ছিল মোদীর সবথেকে বড় বিপর্যয়। এখন সেই রাজ্যেই মহাজোটের সঙ্কটের মধ্যে আজ নীতীশের পিঠ চাপড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, গত কয়েক দশক ধরে কয়েক জনের জন্য নেতাদের মর্যাদাহানি হচ্ছে। জনতাকে ভরসা দিতে হবে, সব নেতা দুর্নীতিগ্রস্ত নন। সব নেতা অর্থের পিছনে দৌড়ন না। সব দলের দায়িত্ব নিজেদের মধ্যে এমন নেতাকে বাছাই করা। মোদীর মতে, আইন যদি নিজের কাজ করে, আর তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরে যাঁরা বাঁচার রাস্তা খোঁজেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই একজোট হতে হবে। যাঁরা দেশকে লুঠ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জরুরি।

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, গত কালই অমিত শাহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, নীতীশের সঙ্গে বিজেপির সরকার থাকার সময়ে বিহারে কত উন্নয়ন হয়েছিল! আর আজ প্রধানমন্ত্রী সেই নীতীশকেই বার্তা দিলেন, লালুসঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপির দিকেই বরং আসুন। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীরা যে ভাবে সিবিআই, আয়কর, ইডি-র অপব্যবহারের কথা তুলে একজোট হচ্ছে, সেই অভিযোগ ঠিক নয়। বরং লালুর মতো নেতাদের বিরুদ্ধেই সকলের একজোট হওয়া উচিত। এটি আসলে একজোট বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করারই কৌশল। প্রধানমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন, সেই সময় লালুর দলের জয়প্রকাশ নারায়ণ যাদব উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য জেডি(ইউ)-এর পক্ষ থেকে সেই সময় কেউ ছিলেন না। গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর সঙ্গে শরদ যাদব সেই সময়ই দেখা করতে গিয়েছিলেন। যদিও দলের এক সূত্রের মতে, নীতীশের বিজেপি-ঝোঁক দেখে ক্ষুব্ধ শরদ। নীতীশ বিজেপির সঙ্গে গেলে দল ছাড়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিরোধী শিবিরের এক নেতা অবশ্য মোদীর মন্তব্য নিয়ে বলেন, আপাদমস্তক রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন। তিন বছর হয়ে গেল, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র বেছে বেছে বিরোধী নেতাদেরই নিশানা করছেন। বিজেপির কোনও নেতা কী দুর্নীতিগ্রস্ত নন? গত তিন বছরে বিজেপির যাবতীয় দুর্নীতি তো ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর নিজের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ আড়াল করা হয়েছে। ফলে মুখে বড় বড় কথা বলে কোনও লাভ নেই, বাস্তব ছবিটি কিন্তু ভিন্ন।

Lalu Prasad Yadav Nitish Kumar Narendra Modi নরেন্দ্র মোদী নীতীশ কুমার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy