স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ছবি—পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় বিরোধীদের ফিরতে দেবেন না মহিলারা। কারণ যোগী আদিত্যনাথের সরকার মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং নিরাপত্তার জন্য যা করেছ তা দৃষ্টান্তমূলক। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের মাসখানেক আগে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রয়াগরাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেছেন তিনি।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বহু মহিলা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। সেখানে মোদী বলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ এখন নিরাপদ। এখানে কাজের সুযোগও অনেক বেশি। মা-বোনেদের আশীর্বাদ যতক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছে আমি আত্মবিশ্বাসী, কেউ উত্তরপ্রদেশকে অন্ধকারে ঠেলতে পারবে না।’’ এর পরই পূর্ববর্তী অ-বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছিলেন মোদী। বলেছেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে উত্তরপ্রদেশের রাস্তা মাফিয়া এবং দুষ্কৃতীদের দখলে থাকত। এর জন্য সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী হতেন মহিলারা। মা-বোনেরা চলাফেরাও করতে পারতেন না।’’ আদিত্যনাথ এই সব দুষ্কৃতীদের জেরে পুরেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রে তাঁর সরকার এবং উত্তরপ্রদেশে যোগীর সরকার মহিলাদের জন্য কী কী প্রকল্প এনেছে, কী কী কাজ করেছে— তার বিস্তারিত খতিয়ান তুলে ধরেছেন। প্রয়াগরাজের ওই অনুষ্ঠান থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক হাজার কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে, সেই মেয়েদের কিছু দিন আগে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল না। এখন তাঁদের কাছে ডিজিট্যাল ব্যাঙ্কিংয়ের শক্তি আছে।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর জন্যই দেশে কন্যাসন্তানের আনুপাতিক হার বেড়েছে বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মা হতে চলা মহিলাদের যত্ন নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে। এই মহিলারা যাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন এবং হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় নিজেদের যত্ন নিতে পারেন, তার জন্য তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।’’ উজ্জ্বলা যোজনা, মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর মতো বিষয়গুলিও এ দিন উঠে এসেছিল মোদীর বক্তৃতায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy