মার্ক কার্নে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্য নিয়েছেন। গত জুনে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। সেই সাক্ষাতের ধারাবাহিকতা এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ভারতে এসেছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ। সোমবার নয়াদিল্লিতে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কী ভাবে দু’দেশের সম্পর্কের আরও উন্নতি সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের। শুধু তা-ই নয়, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনায় পুনরায় চালু করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন মোদী এবং অনিতা। মোদীর পাশাপাশি, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী।
অনিতার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি নিজের সমাজমাধ্যমে জানান মোদী নিজেই। দু’দেশের পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মোদী। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, কৃষি, জ্বালানির মতো বিষয়গুলি কী ভাবে দু’দেশের মধ্যে বিস্তৃত করা সম্ভব তা-ও উঠে এসেছে আলোচনায়।
২০২৩ সালের জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর সেই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। ঘটনার দায়ও অস্বীকার করা হয় নয়াদিল্লির তরফে।
আরও পড়ুন:
ট্রুডোর একাধিক অভিযোগের কারণে ভারত-কানাডার সম্পর্ক অবনতি ঘটতে থাকে। তার পরে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির অন্দরে বিদ্রোহের জেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত ট্রুডোর স্থানে কুর্সিতে বসেন কার্নে। তার পরেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কার্নের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মন্ত্রী রয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অনিতা।