দিল্লি মেট্রোয় নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার। —ফেসবুক।
দিনের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোয় চড়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্ববিদ্যালয়টির শতবর্ষ উপলক্ষে এক বছর ব্যাপী অনুষ্ঠান চলছিল। তার সমাপ্তি হল শুক্রবার। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য লোক কল্যাণ মার্গ স্টেশন থেকে মেট্রোয় ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। নামেন বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রো স্টেশনে।
মেট্রোয় তরুণ সহযাত্রীদের সঙ্গে খোশগল্পে মেতে উঠতে দেখা যায় মোদীকে। পরে এই নিয়ে একটি টুইট করেন তিনি। টুইটে তাঁর মেট্রো সফরের কয়েকটি ছবি দিয়ে মোদী লেখেন, “নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সহযাত্রী হিসাবে পেয়ে খুশি।” সহযাত্রীদের সঙ্গে তাঁর কী বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে, তা-ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জানান মোদী। তাঁর কথায়, “পড়ুয়াদের মতোই আমি আজ মেট্রোয় সফর করেছি। পড়ুয়ারা কত বিষয়ে কথা বলে। তারা আমার সঙ্গে ওটিটি সিরিজ থেকে রিল, সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছে।”
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার-সহ একাধিক নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন মোদী। দেশের বৌদ্ধিক শাখায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অবদান’ রাখার জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে। সেই সময় সমস্ত পড়ুয়া, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতি ‘বাধ্যতামূলক’ বলে জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হিন্দু কলেজ, ভীমরাও অম্বেডকর কলেজ এবং জাকির হুসেন কলেজ। বুধবার প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পড়ুয়ারা শুক্রবার কোনও কালো পোশাক পরতে পারবেন না। এমনকি ওই বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও জানানো হয় যে, শুক্রবারের অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা উপস্থিত থাকলে, তাঁদের পাঁচ দিনের উপস্থিতি দিয়ে দেওয়া হবে। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়।
যদিও এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্জু শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। অবশ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিটি নকল, এমন কথাও বলতে চাননি তিনি। দিল্লির মিরান্ডা হাউস, রামজস কলেজ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছেন, তাঁরা পড়ুয়াদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আর্জি জানিয়েছেন। কাউকে এই বিষয়ে জোরাজুরি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিকাশ গুপ্ত জানান, পড়ুয়াদের ‘বাধ্যতামূলক উপস্থিতি’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy