Advertisement
E-Paper

ভাটিন্ডায় চার সেনা জওয়ান খুনে গ্রেফতার ছাউনিরই এক জওয়ান!

তবে পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করা হয়নি। তারা সোমবার দুপুর ১২ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Police arrested an army jawan in Bhatinda firing case, says sources.

এই নিয়ে পুলিশ সোমবার দুপুর ১২ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবে বলে সূত্রের খবর। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৩
Share
Save

রাতের অন্ধকারে পঞ্জাবের ভাটিন্ডায় সেনা ছাউনিতে গুলি চালিয়ে চার জন সেনা জওয়ান খুনের তদন্তে গ্রেফতার ওই ছাউনিরই সেনা জওয়ান। সোমবার সকালে পুলিশ ওই সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে বলে ভাটিন্ডা থানার পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই গ্রেফতারির কথা ঘোষণা করা হয়নি। পুলিশ সোমবার দুপুর ১২ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবে বলে সূত্রের খবর।

গত বুধবার ভোরে ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে ঘুমন্ত জওয়ানদের উপর গুলি চালানো হয়। ওই ঘটনায় নিহত হন ৪ সেনা জওয়ান। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে হইচই পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, যদি দেশের জওয়ানরাই সুরক্ষিত না থাকেন, তা হলে সাধারণ মানুষ কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবেন!

গুলিকাণ্ডের পর সেই ঘটনার তদন্তে নামে পঞ্জাব পুলিশ। দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তেরা সাদা কুর্তা-পায়জামা পরে ওই ছাউনিতে প্রবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে একটি ইনসাস রাইফেল এবং একটি কুড়াল ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

গুলি চালানোর ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীদের যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

এফআইআর অনুযায়ী, যে ইনসাস রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটি সপ্তাহ তিনেক আগেই ল্যান্স নায়েক মুপদি হরিশকে দেওয়া হয়েছিল এবং ৯ এপ্রিল সেটি খোয়া যায়। খোয়া যায় ২৮ রাউন্ড গুলিও। যেখানে জওয়ানদের দেহগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে অনেক খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছিল। সেগুলি ওই খোয়া যাওয়া রাইফেলের বলে সেনার এফআইআর-এ উল্লেখ রয়েছে। শুধু খালি কার্তুজ দেখে কী ভাবে ওই খোয়া যাওয়া অস্ত্র দিয়েই গুলি চালানো হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হল, তা নিয়ে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা প্রশ্ন তুলছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার এফআইআর নিয়ে আরও একটি বড় প্রশ্ন উঠছে। এফআইআর বলছে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ। কিন্তু সেনা ছাউনি থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুলিশ স্টেশনে ১০ ঘণ্টা পেরোনোর পর দুপুর ৩টে নাগাদ অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কেন এত দেরি, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই এই ঘটনায় এক সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করা হল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Army Jawan Firing

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}