Advertisement
E-Paper

কী ভাবে খুন করা হয়েছিল মেরঠের কিশোরীকে? হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মা এবং তিন আত্মীয়

বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দৌরালা এলাকায় এক ছাত্রীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আস্থা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১২:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধেই। শুধু তা-ই নয়, দেহ যাতে শনাক্ত না করা যায় তার মাথা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। ঘটনার পর পরই পুলিশ জানিয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরিবার এবং পরিচিতদের কেউ জড়িত। সেই সন্দেহে কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আর কেউ নন, কিশোরীর মা এবং তার তিন আত্মীয় জড়িত। যাঁদের মধ্যে এক জন নাবালকও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দৌরালা এলাকায় এক ছাত্রীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আস্থা। তার পরিবারের তরফে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আস্থার মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়।

মেরঠের পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানিয়েছেন, গত ২৮ মে কিশোরীকে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখেন তার পরিবারের এক সদস্য। সেই খবর বাড়িতে পৌঁছোয়। তার পর ওই দিন বাড়িতে ফিরতে কিশোরীকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁর মা এবং কিশোরীর ভাইয়েরা। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য কিশোরীর মাথা কেটে ফেলেন। মাথা কাটার জন্য বোল্ট কাটার ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আস্থার দেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, তাই দেহ প্লাস্টিকে মুড়িয়ে বাহাদুরপুর এলাকায় খালে ফেলে দেওয়া হয়। আর কাটা মুন্ডু ফেলা হয় গঙ্গায়। দেহ উদ্ধার হলেও এখনও মাথা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সমাজমাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল আস্থার। তার পর তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তার এই সম্পর্কের আপত্তি জানায় পরিবার। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আস্থাকে খুনের পরিকল্পনা করেন তাঁর মা। এই ঘটনায় আস্থার মা রাকেশি দেবী, মনু, সমর সিংহ এবং এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

Meerut
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy