Advertisement
E-Paper

ফাঁসির সাজা থেকে মুক্তি পেয়ে ফের ধর্ষণ! কুম্ভস্নান করতে যাওয়া অভিযুক্তকে ধরল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ

২০০৩ সালে প্রথম অভিযোগ। নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ১০ বছর জেল হয় অভিযুক্তের। ছাড়া পেয়ে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০১৪ সালে। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দিলেও ২০১৯ সালে হাই কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৭
মধ্যপ্রদেশে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ১০ বছর জেলে ছিলেন। ছাড়া পেয়ে আবার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয়। কিন্তু শনাক্তকরণের সময়ে ‘প্রক্রিয়াগত সমস্যা’র কারণে রায় খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত। সেই অভিযুক্তকেই পুনরায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

১-২ ফেব্রুয়ারির রাতে মধ্যপ্রদেশের নরসিংহগড় সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ১১ বছর বয়সি এক নাবালিকা। পরের দিন বাড়ির অদূরেই একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। শারীরিক পরীক্ষার পর ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাবালিকার।

ঘটনার তদন্তে নেমে ৪৬টি জায়গার ১৩৬টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। লাল চাদর গায়ে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন পুলিশকর্মীরা। তাঁকে অকুস্থলের কাছে ঘুরতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। পরে এক অটোচালকের থেকে পুলিশ অভিযুক্তের বিষয়ে আরও তথ্য পায়। তিনি অভিযুক্তকে নরসিংহগড়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

ওই তথ্যের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ করতে থাকে। প্রয়াগরাজ পর্যন্ত তাঁর পিছু নেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। শেষে জয়পুরগামী একটি ট্রেন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মধ্যপ্রদেশের ৭৫ জন পুলিশকর্মী ১৬টি দলে ভাগ হয়ে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের রাজগড়ের পুলিশ সুপার আদিত্য মিশ্র জানান, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৩ সালে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এই অভিযুক্ত। দশ বছর জেলে কাটিয়ে ২০১৩ সালে ছাড়া পান তিনি। পরে ২০১৪ সালে আবার আট বছর বয়সি এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা দেয়। কিন্তু ২০১৯ সালে হাই কোর্ট ওই রায় খারিজ করে দেয়। হাই কোর্ট জানায়, অভিযুক্তকে শনাক্ত করার সময়ে নাবালিকার বাবা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফলে অভিযুক্তের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করে আদালত। ওই ‘প্রক্রিয়াগত সমস্যা’র কারণে ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত।

Madhya Pradesh Crime POCSO Act
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy