সম্পত্তি হাতাতে এবং দেওরদের সঙ্গে সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ উঠল এক বধূর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসীর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই বধূ, তাঁর বোন এবং বোনের প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন, পূজা, তাঁর বোন কমলা এবং কমলার প্রেমিক অনিল বর্মা। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ৮ লক্ষ টাকা, সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূজার স্বামী মারা গিয়েছিলেন বছরখানেক আগে। তাঁর মৃত্যুর পর সম্পত্তি হাতানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পত্তি হাতাতে গেলে পুরো পরিবারকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হত। তাই পরিবারকে নিজের হাতের মুঠোয় রাখতে প্রথমে এক দেওর কল্যাণ সিংহের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাঁর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্ক শুরু করেন। বেশ কয়েক মাস লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর কল্যাণের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। পূজা আলাদা একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন। কিন্তু তাঁর শ্বশুর অজয় সিংহ এবং দেওর সন্তোষ তাঁকে গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:
গ্রামের বাড়িতে থাকাকালীন দেওর সন্তোষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পূজা। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্তোষকে কাজে লাগিয়ে সম্পত্তি হাতানোর পরিকল্পনা করেন পূজা। পূজা এবং সন্তোষের একটি কন্যাসন্তানও হয়। সন্তোষ বিবাহিত। বৌদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর সন্তোষের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। ফলে পূজার রাস্তা আরও পরিষ্কার হয়। কিন্তু তাঁর এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি শাশুড়ি সুশীলা দেবী। তাই শাশুড়িকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। নিজেদের ১৬ বিঘা জমি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য শ্বশুরের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। শ্বশুর রাজি হয়ে যান। কিন্তু আপত্তি জানান শাশুড়ি। তার পরই শাশুড়িকে খুনের পাকাপাকি বন্দোবস্ত করে ফেলেন পূজা। বোন, তাঁর প্রেমিককে বিষয়টি জানান। তার পর সুযোগ বুঝে শাশুড়িকে পূজারা খুন করেন বলে অভিযোগ।