‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে ফের প্রতারণার অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে। ইনদওরের এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকার থেকে প্রতারকেরা ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। ৮১ বছর বয়সি প্রৌঢ়াকে একটি গোটা রাত ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে রাখেন প্রতারকেরা। ঘটনার কথা অনুমান করতে পেরে পুলিশ তাঁকে সতর্কও করে। কিন্তু এর পরেও প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন প্রৌঢ়া।
ইনদওর পুলিশের অতিরিক্ত ডিসি (অপরাধ) রাজেশ দণ্ডতিয় জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ২৭ এপ্রিল। ওই দিনই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকার কাছে প্রথম ফোন আসে প্রতারকদের। প্রৌঢ়াকে বলা হয়, তাঁর সিমটি দু’ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। তাঁর নামে একটি এফআইআর হয়েছে জানিয়ে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। প্রতারকেরা নিজেদের বিশ্বাসযোগ্য করতে তুলতে পুলিশ আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়েও কথা বলে প্রৌঢ়ার সঙ্গে। একটি গোটা রাত ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হয়ে থাকার পরে প্রৌঢ়া যখন ভেঙে পড়েন, তখন তাঁকে মামলার মিটমাট করার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ওই ৫০ লক্ষ টাকা দিতে ব্যাঙ্কের ফিক্স়ড ডিপোজ়িট ভাঙতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। তবে তাঁকে উদ্বিগ্ন দেখে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। তিনি সার্ভারের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে পরের দিন স্কুলশিক্ষিকাকে আসার জন্য অনুরোধ করেন। প্রৌঢ়া ব্যাঙ্ক থেকে বের হতেই থানায় যোগাযোগ করেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। নিজের সন্দেহের কথা জানান পুলিশকে। সেই মতো পুলিশও যোগাযোগ করে প্রৌঢ়ার সঙ্গে। তাঁকে বোঝানো হয়, প্রতারকেরা ফোন করছে। মোবাইল ‘সুইচ্ড অফ’ করে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক দিন পরে ফের প্রতারকদের ফোন আসতে শুরু করে প্রৌঢ়ার ফোনে। দ্বিতীয় বারও প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন তিনি এবং তাঁর ১ কোটি ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। তবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সতর্কতায় তাঁর ফিক্স়়ড ডিপোজ়িটটি রক্ষা পেয়েছে।