মহারাষ্ট্রের লাতুরের এক বাসিন্দাকে ‘পাকিস্তানি’ বলে সম্বোধন এবং মারধর করার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনার পরের দিনই লাতুরের ওই বাসিন্দার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একটি তদন্তকারী দল গঠন করে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।
ঘটনাটি ঘটেছিল ‘অপারেশন সিদুঁর’ শুরু হওয়ার আগেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, গত ৪ মে সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, আগের দিনই এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁর স্বামীকে পাকিস্তানি বলে সম্বোধন করে মারধর করেছিলেন। অভিযোগকারী মহিলা এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পুলিশকে তিনি জানান, প্রতিদিন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাস থেকে নামার পর তাঁর স্বামী স্কুটারে করে তাঁকে নিতে আসতেন। গত ৩ মে বাস থেকে নেমে তিনি স্বামীকে ফোন করেছিলেন। তখন ফোনে তিনি শুনতে পান, স্বামী কাকুতি মিনতি করছেন তাঁকে না-মারার জন্য। পরে স্বামীর সঙ্গে যখন তাঁর দেখা হয়, তখন স্বামীর জামা ছেঁড়া ছিল।
আরও পড়ুন:
মহিলা থানায় জানান, পরে স্বামী তাঁকে জানিয়েছিলেন ওই দিন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে মারধর শুরু করেছিলেন। তাঁকে পাকিস্তানি বলেও সম্বোধন করেছিলেন। তাঁর ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে ‘পাকিস্তানি’ বলে দাগিয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পরের দিনই আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশের পৃথক পৃথক দল গঠন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে।