হরিয়ানার টেনিস খেলায়াড় রাধিকা যাদব খুনে যাবতীয় রহস্য তাঁর ডিলিট হওয়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্যদের টেনিস প্রশিক্ষণ দেওয়ার ছবি বা ভিডিয়ো দিয়ে রিল তৈরি করে সেগুলি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন রাধিকা। এর ফলে তিনি রাতারাতি সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও তাঁর রক্ষণশীল আত্মীয় এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা বিষয়টি ভাল চোখে দেখেননি। এই বিষয়ে তাঁরা রাধিকার বাবা দীপক যাদবের কাছে নালিশ জানান। সেই সময় থেকেই মেয়ের প্রতি বাবার মনে রাগ জন্মাতে থাকে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
দীপক চেয়েছিলেন রাধিকা টেনিস খেলাতেই মনোনিবেশ করুক। কিন্তু একাধিক চোট-আঘাত পাওয়ার পর বাবার ইচ্ছানুযায়ী ‘দ্বিতীয় সানিয়া মির্জা’ যে হওয়া যাবে না, তা বুঝে যান রাধিকা। তার পর থেকে পেশাদারি কোচিং শুরু করেন তিনি। অন্যদের টেনিস খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়ার ছবি, ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেন তিনি।
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “বাবার চাপে কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীদের আপত্তিতে রাধিকা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে দিয়েছিলেন কি না, সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই। তবে তদন্তের স্বার্থে আমরা খুব শীঘ্রই তাঁর অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করব।” পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে কোচিং করানো শুরু করায় দীপক মনে করতেন রাধিকা তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে নষ্ট করছেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে রিল পোস্ট করার পর থেকেই রাধিকার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁর আত্মীয়রা। মেয়ে সম্পর্কে এই বিদ্রুপ দীপক আর নিতে পারছিলেন না বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতেই খুন হন রাধিকা। তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হন বাবা দীপক। তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।