ব্যাঙ্কে বিধায়ক। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের। মঙ্গলবার করিমগঞ্জে। — শীর্ষেন্দু সী
ব্যাঙ্কের লাইনে অপেক্ষায় থাকা গ্রাহকদের চা-বিস্কুট দিল বিজেপি। কংগ্রেস বিধায়ক দিলেন পানীয় জলের বোতল।
কিন্তু মূল সমস্যা এখনও থেকেই গেল। গত কাল ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। টাকা তুলতে আজ ভোর থেকেই করিমগঞ্জে স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএমে লাইন দেন কয়েকশো মানুষ। অভিযোগ, ৯ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও টাকা মেলেনি। দেখা মেলেনি ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীর। করিমগঞ্জে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় টাকা বদলের কাউন্টারে ভিড় উপচে পড়ে।
কালো টাকার বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে কারও কোনও আপত্তি না থাকলেও, টাকা তুলতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়ছেন অনেকেই। এতে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
সে দিকে তাকিয়েই আজ রাস্তায় নামে বিজেপি। স্টেট ব্যাঙ্কে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের দেওয়া হয় চা-বিস্কুট। পিছিয়ে ছিল না জেলা কংগ্রেসও। বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ লাইনে অপেক্ষায় থাকা মানুষের হাতে পানীয় জলের বোতল তুলে দেন। জনতার সমস্যা নিয়ে জেলাশাসক প্রশান্তকুমার মহন্তের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন কমলাক্ষবাবু। কিন্তু জেলাশাসকের ফোন বন্ধ ছিল। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ফোন করে বিধায়ক পরিস্থিতির কথা জানান। এই পরিস্থিতিতেও ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজারের দেখা মেলেনি বলে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে বিজেপি নেতা মিশনরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘কংগ্রেস স্লোগানবাজি করে কালো টাকাকে সাদা করতে চাইছে।’’ জেলা কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, মোদী সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে সমস্যা পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় বলেন, ‘‘দেশ চালাতে গিয়ে কেঁদে ফেলছেন মোদী। দেশের নাগরিকদের এ ভাবে বোকা বানাতে চাইছেন।’’ ওই সাংবাদিক বৈঠকে জেলা কংগ্রেসের প্রশাসনিক সম্পাদক সুব্রত দেব, রজত চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। করিমগঞ্জের অধিকাংশ ব্যাঙ্কেই এ দিন টাকা মেলেনি। খুচরো নোট না থাকার কথা জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, কাছাড় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, আইডিবিআই ব্যাঙ্কে ছবিটা ছিল একই রকম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy