গর্ভবতী মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের আদরণী অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ ডিমা হাসাওয়ের অনেকেই। ক্ষোভ রয়েছে ‘১০৮ মৃত্যঞ্জয়’, ‘১০২ জরুরিকালীন অ্যাম্বুল্যান্স’ নিয়েও।
পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামের অসুস্থ ব্যক্তি বা দুর্ঘটনাগ্রস্থ মানুষকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই সব পরিষেবা চালু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, জরুরি প্রয়োজনে ওই সব নম্বরে ফোন করলেও সব সময় সাড়া মেলে না। সময়মতো পৌঁছয় না অ্যাম্বুল্যান্সও। তা ছাড়া ওই সব গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বা অক্সিজেনও অনেক সময় থাকে না।
ডিমা হাসাও জেলায় ৮টি ‘মৃত্যুঞ্জয়’ ৫টি ‘জরুরিকালীন’ ও ১টি আদরণী অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। এমনই হিসেব দিয়ে ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ধ্রুবজ্যোতি বরা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টাই ওই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু থাকে। কিন্তু পাহাড়ি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় রাস্তা খারাপ থাকায়, অনেক সময় সব জায়গায় সরাসরি পৌঁছনো যায় না। সে সব ক্ষেত্রে রাস্তা দিয়ে যতটা দূর সম্ভব যাওয়া যায়, সেখানে গাড়ি পৌঁছয়। তারপর স্ট্রেচারে করে গ্রাম থেকে রোগী সেখানে নিয়ে আসা হয়।
ওই সব গাড়ির কয়েকটিতে অক্সিজেনের সমস্যার কথা মেনে নেন ধ্রুবজ্যোতিবাবু। তিনি জানান, হাফলঙয়ে অক্সিজেন পাওয়া যায় না। তা নিয়ে আসতে হয় নগাঁও থেকে। তবে সেই সমস্যা এখন অনেকটা মিটে গিয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়া বলেন, ‘‘পাহাড়ি জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জরুরিকালীন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা তৈরি হয়নি। এ নিয়ে প্রচার চালাতে হবে।’’ জেলাশাসক জানান, ডিমা হাসাও জেলার ১৩টি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করে তাঁদের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রচারপত্র বিলি করা যেতে পারে। ওই অভিযানে সামিল করা হবে পাহাড়ি জেলার গ্রামগুলির প্রধানদের। ওই পরিষেবার বিষয়ে প্রচারপত্র ছাপানোর জন্য ধ্রুবজ্যোতিবাবুকে পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক। একইসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার হাফলঙে মজুতও করতে বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy