প্রশান্ত কিশোর (বাঁ দিকে), নীতীশ কুমার (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
বিহারে আরজেডি, জেডিইউ, কংগ্রেসের মহাজোটে যোগ দিতে রাজি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তবে শর্ত একটাই, প্রতিশ্রুতি মতো বছরে ১০ লক্ষ চাকরি দিতে হবে নীতীশকে। পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গে যে নীতীশের সাক্ষাৎ হয়েছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা পিকে।
বুধবার, নীতীশও জানিয়েছিলেন তিনি পিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যদিও সেই বৈঠককে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। পিকের সঙ্গে বৈঠককে নীতীশ ‘স্বাভাবিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্যহীন’ বলে বর্ণনা করেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে বিজেপির হাত ছাড়ার পর দেশে বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছে নীতীশকে। একে একে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। নিয়মিত বৈঠকও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পটনায় নীতীশ-পিকে বৈঠক নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। নীতীশ সেই বৈঠক সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটা খুবই সাধারণ একটা বৈঠক। পবন বর্মা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। পবনের সঙ্গেও কয়েক দিন আগে দেখা হয়েছিল।’’
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পিকের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাতাবরণে নীতীশকে এক বারও পিকে সম্পর্কে শ্লেষাত্মক মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। তাই এই বৈঠক কি আগামীর কোনও সমীকরণের ইঙ্গিতবাহী? তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। যদিও পিকে যে শর্ত দিয়েছেন, তা পালন করা বাস্তবে নীতীশের পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বর্তমানে রাজনৈতিক পরামর্শ দেওয়ার কাজ ছেড়ে বিহারে জন আন্দোলন শুরু করেছেন পিকে। বিহার জুড়ে চলছে তাঁর ‘জন সুরাজ’ অভিযান। তাঁর দাবি, আই প্যাকের সঙ্গেও তাঁর ইদানীং সম্পর্ক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy