বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়ে উমেশ পালকে। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী উমেশ পালকে ৭টি গুলি করা হয়েছিল। ৬টি গুলি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। আর একটি গুলি আটকে ছিল দেহে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, উমেশের শরীরে মোট ১৩টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সবক’টি গুলি চালানো হয়েছে পিস্তল দিয়ে। শুক্রবার বিকেলে প্রয়াগরাজে বাড়ির সামনে গাড়ি থেকে নামতেই বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী উমেশের উপর হামলা চালায়। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। বেশ কয়েকটি বোমাও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। উমেশের দুই দেহরক্ষী দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর জখম হন। পরে এক জন মারা যান। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
উমেশকে প্রথম গুলিটি করার পর তিনি পালিয়ে একটি গলিতে ঢুকে পড়েন। দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে গেলে উমেশের দুই দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সন্দীপ নিশাদ নামে এক জন চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। গুরুতর জখম অবস্থায় উমেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উমেশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। আতিক এখন জেলে বন্দি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আতিকের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রয়াগরাজে পুলিশ কমিশনার রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, “পিস্তল দিয়ে গুলি করা হয়েছে উমেশকে। তাঁকে লক্ষ্য করে দু’টি বোমাও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy