প্রতীকী ছবি
ভরা বৈশাখ। কিন্তু দহনজ্বালা উধাও! উল্টে নিত্যদিনই কোথাও না-কোথাও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রা মাথাচাড়া দিতে পারছে না। করোনা-যন্ত্রণায় বঙ্গবাসীর স্বস্তি এটুকুই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তেও তেমন দহনজ্বালা ভুগতে হবে না রাজ্যবাসীকে।
এরই মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। সেটি শক্তি বৃদ্ধি করলেও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে কি না, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত করে বলেনি দিল্লির মৌসম ভবন। আবহবিদেরা জানান, আপাতত গভীর নিম্নচাপের চেহারা নিয়ে আন্দামান সাগরের অতিথি মায়ানমারের দিকে চলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে এ রাজ্যে তার প্রভাব না-পড়ার সম্ভাবনা বেশি। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের রেওয়াজ আছে। এত দিন যে-তালিকা ধরে নামকরণ হত, তাতে আর একটি নাম অবশিষ্ট রয়েছে। তাই ১৩টি দেশ মিলে নতুন ২৬৯টি ঝড়ের নাম দিয়ে নতুন তালিকা তৈরি করেছে।
আবহবিদেরা বলছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্য অনেক জায়গাতেই গ্রীষ্মের দহন সে-ভাবে ভোগাচ্ছে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই রয়েছে। বাংলায় একই ছবি। কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। জেলাগুলিতেও গ্রীষ্মের জ্বালা তেমন মালুম হচ্ছে না।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের উপরে প্রায়ই ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হচ্ছে। তার উপরে বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। তার জেরেই বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। লাগাতার ঝড়বৃষ্টির ফলেই গ্রীষ্ম রুদ্ররূপ ধারণ করতে পারছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy