প্রতীকী ছবি।
পাব, ডিস্কো বা নাইট ক্লাবগুলোতে খরিদ্দারদের গোলমাল এড়ানোর জন্য বাউন্সার রাখা হয়। কিন্তু এ বার বাউন্সার রাখার সিদ্ধান্ত নিল পঞ্জাবের বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল।
সরকারি হোক বা বেসরকারি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাসপাতালগুলিতে অনেক সময়ই চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। রোগীর মৃত্যু হলেই চিকিত্সার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা বিরল নয়। মারধর করা হয় চিকিত্সকদেরও। চিকিত্সকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে বার বার সরব হলেও চিত্রটা কিন্তু বদলায়নি। কিন্তু এ বার চিকিত্সকদের বাঁচাতে এবং হাসপাতালের সম্পত্তিকে রক্ষা করতে এক অভিনব ব্যবস্থা নিল পঞ্জাবের বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল।
আরও পড়ুন: সপায় ভাঙন, নতুন দলের নাম ঘোষণা করে দিলেন শিবপাল
হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতি আটকাতে এবং চিকিত্সকদের জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে এ বার রাজ্যের বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল বাউন্সার রাখতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কোনও পাবে গিয়ে ঝামেলা করলে যে ভাবে বাউন্সাররা পরিস্থিতি সামাল দেয়, ঠিক সে ভাবেই হাসপাতাল ও চিকিত্সকদের নিরাপত্তার জন্য তাঁরা কাজ করবে।
রাজ্যের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক জানান, জনরোষের হাত থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে বাঁচাতে অবশ্যই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার। সম্প্রতি অমৃতসরে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যু ও চিকিত্সার অতিরিক্ত বিল নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। বার বার হাসপাতাল ও চিকিত্সকদের জনরোষের শিকার যাতে হতে না হয়, সে কারণেই বাউন্সার রাখার চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে এক বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, চিকিত্সকদের অনেকেও নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বাউন্সার রাখছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিত্সক জানান।
আবার এক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে বাউন্সার রাখা হলেও জনরোষের মতো ঘটনার সময় বল প্রয়োগে চট করে অনুমতি দেওয়া হয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy