Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের আগে রাহুলের মাস্টারস্ট্রোক, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হলেন প্রিয়ঙ্কা

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্যভার নেবেন তিনি। 

এআইসিসি সাধারাণ সম্পাদক করা হল প্রিয়ঙ্কা বঢড়াকে। —ফাইল চিত্র

এআইসিসি সাধারাণ সম্পাদক করা হল প্রিয়ঙ্কা বঢড়াকে। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৩
Share: Save:

বহু বছরের জল্পনার অবসান। অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগদান করলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রা। আজ বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রিয়ঙ্কাকে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করেছেন দলের সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁকে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে এ দিনই পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের মন্তব্য, ‘‘প্রিয়ঙ্কা-জ্যোতিরাদিত্যর উপর আস্থা রাখুন, ওরা ভাল ফল করে দেখাবে।’’

এত দিন তিনি যেন কংগ্রেসে থেকেও ছিলেন না। তাঁর গণ্ডি ছিল মূলত সনিয়া-রাহুলের আসন রায়বরেলী ও অমেঠী। লোকসভা ভোটের প্রচারসভায় তাঁকে মাঝে মধ্যে দেখা যেত। তার বাইরে কংগ্রেসের কার্যক্রমে তাঁর উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। কিন্তু বহু বছর ধরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, কবে সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন প্রিয়ঙ্কা। প্রিয়ঙ্কা রাজি নন, কিংবা দলের তরফে তাঁকে সেভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি, ইত্যাদি নানা মতামত ভেসে বেড়াত রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সেই জল্পনায় ইতি টানলেন রাহুল। লোকসভা ভোটের আগে মোক্ষম সময়ে প্রিয়ঙ্কাকে এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে এলেন রাহুল। মোক্ষম সময় কারণ, নানা ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে মোদী সরকার। দেশ জুড়ে কার্যত মোদী বিরোধী হাওয়া। বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের প্রস্ততিও চলছে জোরকদমে। এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কা সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক শিবির।

পর্যবেক্ষকদের একটা বড় অংশ মনে করেন, ‘‘সব রাজ্যে কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে আম জনতার মধ্যে প্রিয়ঙ্কার গ্রহণযোগ্যতা ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধীর মতোই। পরীক্ষিত না হলেও তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার উপরও অনেকেই আস্থা রাখেন। এই সব কারণেই তাঁকে কংগ্রেসের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হিসেবেও অনেকে উল্লেখ করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। এ বার লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগে আস্তিন থেকে সেই তুরুপের তাস বের করলেন রাহুল গাঁধী।

আরও পড়ুন: আঠারো মাস আরব সাগরে ঘাটালের যাজ্ঞিক, উদ্ধারে বিদেশ মন্ত্রকে দরবার স্ত্রীর

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল সাফল্যই কার্যত মোদীর জন্য দিল্লির সিংহাসনের রাস্তা খুলে দিয়েছিল। এবার সেখানে বিপরীত স্রোত। বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধে ফেলেছেন মায়াবতী-অখিলেশ। কংগ্রেসও ৮০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে এবারের ভোটে কংগ্রেসের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ উত্তরপ্রদেশ। এক দিকে বিজেপি এবং অন্য দিকে বিএসপি-এসপি জোটকে মোকাবিলা করতে নিয়ে এলেন ৪৭ বছরের প্রিয়ঙ্কাকে। সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। রাহুল এদিন বলেন, এ বার ব্যাকফুটে নয়, ‘‘সরাসরি মাঠে নেমে গরিব, কৃষক, মজুরদের জন্য লড়াই করবেন প্রিয়ঙ্কা-জ্যোতিরাদিত্য। দু’জনের উপর আস্থা রাখুন, ওঁরা ভাল ফল করে দেখাবেন।’’

আরও পড়ুন: ধওয়ন জিতিয়ে ফিরলেন, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত

অন্য দিকে ঘোষণার পরই সারা দেশ থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন প্রিয়ঙ্কা। অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরাও।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE