জয়ের পর। রবীন্দ্রদসন মহিলা কলেজে এবিভিপি সমর্থকদের মিছিল। শুক্রবার করিমগঞ্জে। ছবি: উত্তম মুহরী।
রবীন্দ্রসদন মহিলা কলেজের ছাত্র সংসদে গেরুয়া বাহিনীর বিজয়ে যেন পুরসভার অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার বদলা নিল শাসক দল। ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাই কলেজে পৌঁছলেন পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল, জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, মিশনরঞ্জন দাস। তাঁরা অভিনন্দন জানালেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জয়ী প্রার্থীদের।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি সতু রায় করিমগঞ্জের রবীন্দ্রসদন মহিলা কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি। সেই কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন তাই শাসক দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মনোনয়ন দাখিলের দিনই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির মতো পদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিতে নিয়েছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের প্রার্থীরা। দলীয় সূত্রে খবর, কলেজের ভোটে জিততে অনেক ছক কষেছিল বিজেপি। সহ-সভাপতির জন্য এবিভিপি প্রার্থী করেছিল সাবানা ইয়াসমিন চৌধুরীকে। কংগ্রেসের তরফে ছিলেন শিল্পা দাস। কলেজে উপস্থিতির হারে পিছিয়ে ছিলেন শিল্পাদেবী। সে জন্য তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। একই ভাবে বাতিল হয় এনএসইউআই-এর প্রায় সব প্রার্থীরই। তবে ওই দলের তিন প্রার্থীর মনোনয়ন ঠিকঠাক ছিল।
আজ ভোটগ্রহণের আগে সম্পাদিকা (মিটিং এন্ড ডিবেট), অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদিকা এবং ক্রীড়া সম্পাদিকা পদের এনএসইউআই প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৬টি পদে জেতে এবিভিপি। একমাত্র সম্পাদিকা (কমনরুম) পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন এনএসইউআই প্রার্থী। তাঁর বিপক্ষে এবিভিপি প্রার্থী ছিলেন না।
কংগ্রেসের অভিযোগ, অগস্ট পর্যন্ত শিল্পাদেবীর কলেজে উপস্থিতির হার ছিল ৮৮ শতাংশ। এক মাস পর মনোনয়ন দাখিলের সময় কলেজে তাঁর উপস্থিতির হার ৭৩ শতাংশ দেখানো হয়। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শাসক দল ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শহর মণ্ডল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ নন্দী। নির্বাচনে জয়লাভের পর বিজয় মিছিল বের করেন এবিভিপি ছাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy