ছাত্রীকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্ষণের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের বাবাসাহেব অম্বেডকর মরাঠওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপককে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তাঁর এই অপরাধে সঙ্গ দিয়েছেন অধ্যাপকের স্ত্রীও। দম্পতির একটি পুত্রসন্তান দরকার। সেই কারণেই ছাত্রীকে বার বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর পরিবারকেও অভিযুক্ত হেনস্থা করেছেন।
দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ১০৯, ৫০৪ এবং ১১৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, অভিযুক্ত বাবাসাহেব অম্বেডকর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটকের শিক্ষক। ২০১৯ এবং ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়েছেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গে সেখান থেকেই তাঁর যোগাযোগ হয়। অভিযোগ, ছাত্রীকে বুঝিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতে রাজি করান।
অভিযোগপত্রে ছাত্রী জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অধ্যাপকের বাড়িতে থাকতেন তিনি। সেই সময় তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনা অধ্যাপকের স্ত্রীকেও জানান ছাত্রী। কিন্তু অভিযোগ, স্ত্রী কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং তিনি ছাত্রীকে জানান, তাঁর কাছ থেকে তাঁরা একটি পুত্রসন্তান চান।
অভিযোগ, ছাত্রী নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেও ফোন করে তাঁকে হেনস্থা করা হত। তাঁর পরিবারকেও নানা হুমকি দেওয়া হয়েছে অধ্যাপকের বাড়ি থেকে। ছাত্রী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁর পরিবার। অবশেষে অধ্যাপককে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy