খাটের তলায় ঢুকে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। তাঁদের উপর বেধড়ক লাঠি চালাচ্ছে উন্মত্ত জনতা। মারের চোটে ঠোঁট ফেটে রক্ত গড়াল। কোনও পুলিশকর্মীর মাথার হেলমেট গেল ভেঙে। তবু মারধর থামেনি। এমনই ঘটনার সাক্ষী হল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনার একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও ঢুকে পড়ে ওই জনতা। তার পর চলে মারধর। হাতজোড় করেও রক্ষা পাননি পুলিশকর্মীরা। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
যে বাড়িতে পুলিশকর্মীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁদের পিছু পিছু ঘরে ঢুকে পড়েন কয়েক জন। ভয়ের চোটে ঘরে থাকা একটি খাটের নীচে লুকিয়ে পড়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু ওই ঘরে ঢুকে টেনেহিঁচড়ে বের করে লাঠি চালানো হয় তাঁদের উপর। চড়-ঘুষিও মারতে দেখা যায় কাউকে কাউকে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, জখম পুলিশকর্মীদের ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকা। মঙ্গলবার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন ওই অপরাধের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়। থানার সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। তার পর দুপুরে শুরু হয় অশান্তি। কালিয়াগঞ্জে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানার সামনে। পুড়ে খাক হয়ে যায় থানার বেশ কিছু অংশ। পরে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তার পরেই ভাইরাল হয়েছে পুলিশকে মারধরের ছবি।