সেনায় যোগ দিতে ভিড় কাশ্মীরি যুবকদের। ছবি: টুইটার
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে সারা দেশে হেনস্থার মুখে পড়ছেন কাশ্মীরিরা। তার প্রতিবাদে আজ শ্রীনগরে বিক্ষোভ দেখালেন কাশ্মীরে কর্মরত অন্য রাজ্যের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। কাশ্মীরিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন চুপ, তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
১৫ বছর ধরে কাশ্মীরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা শিব কুমার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাশ্মীরে সব সময়েই স্থানীয় মানুষ আমাদের সাহায্য করেন। আমরা নিজেদের বাড়িতে যতটা সুরক্ষিত এখানেও ততটাই সুরক্ষিত।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সারা দেশে গোলমাল হলেও কাশ্মীরে আমি কোনও হুমকির মুখে পড়িনি। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্যের নজির হল কাশ্মীর।’’
বিহারের বাসিন্দা বিক্রম শ্রীনগরের গনি খান মার্কেটে পপকর্ন বিক্রি করেন। তিনি স্বীকার করছেন, হামলার পরে কাশ্মীরিদের হেনস্থার খবর শুনে প্রথমে ভয় পেয়েছিলেন। বললেন, ‘‘এখানে একটা ঘরে পাঁচ জন থাকি। কয়েক দিন ভয়ে ঘর থেকে বেরোইনি। প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের গনি খান মার্কেটে দোকান আছে। উনি বুঝতে পেরেছিলেন, আমরা ভয়ে বেরোচ্ছি না। আমাকে ডেকে বললেন, এখানে কেউ তোমাদের গায়ে আঙুলও ছোঁয়াতে পারবে না। তোমরা আমাদের অতিথি।’’ প্রায় একই অভিজ্ঞতা হরিয়ানা থেকে আসা জুতো নির্মাতা প্রসাদ বা পশ্চিমবঙ্গের খেলনা বিক্রেতা ইন্দ্রনীলের। কখনও শীত পড়লে তাঁদের স্ত্রী-ছেলেমেয়ের জন্য জামাকাপড় ও কেরোসিন দিয়েছেন কাশ্মীরিরা। কেউ আবার ২০১৬ সালের অশান্তির সময়েও কাশ্মীরি প্রতিবেশীদের ভরসাতেই নিশ্চিন্তে দিন কাটিয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, এ সব ঘটনা কি যারা কাশ্মীরিদের হেনস্থা করছে তাদের মুখে চড়ের শামিল নয়? ওমরের প্রশ্ন, ‘‘কাশ্মীরিদের উপরে এমন সংগঠিত হামলা নিয়ে কি প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন? নাকি কাশ্মীরের মতো উত্তরের রাজ্য নিয়ে উনি চিন্তিত নন?’’
অন্য দিকে কাল তুষারপাত উপেক্ষা করে সেনায় যোগ দিতে হাজির হন ২ হাজার কাশ্মীরি। বারামুলার এক সেনা ছাউনিতে নিয়োগ শিবির খোলা হয়। আগামী সপ্তাহে শ্রীনগরে নিয়োগ শিবির খুলবে সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy