অমৃতপালের নাম না করে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মানের। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহ এবং তাঁর অনুগামীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। আপের এই নেতা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্জাবের ‘কষ্টার্জিত শান্তি’র পরিবেশকে তিনি কিছুতেই নষ্ট হতে দেবেন না। তবে অমৃতপাল কিংবা তাঁর সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’র নাম মুখে আনেননি তিনি।
আটের দশকের অশান্ত পঞ্জাবের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মান বলেন, “অতীতে পঞ্জাবের মানুষ অনেক সমস্যার মুখে পড়েছেন। কিন্তু তাঁরা এখন শুধু শান্তি এবং উন্নয়ন চান।” কিছু ‘বিভেদকামী শক্তি’ রাজ্যে ‘শান্তি এবং উন্নয়নের বাতাবরণকে নষ্ট’ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার শিখদের ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থসাহিব হাতে নিয়ে পঞ্জাবের আজনালা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন অমৃতপাল এবং তাঁর অনুগামীরা। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুরু গ্রন্থসাহিব আমাদের সকলকে অনুপ্রেরণা জোগায়। কিন্তু তাকে অস্ত্র বানিয়ে অসামাজিক কাজ করার মধ্যে কোনও গর্ব নেই।” অমৃতপালের ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনটির বাংলা তর্জমা করলে হল ‘পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী’। এ ভাবে হিংসার মাধ্যমে পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী হওয়া যায় না বলে অমৃতপালকে কটাক্ষ করেছেন মান।
অমৃতপালদের দাবি মতো তাঁর এক অনুগামী লভপ্রীত সিংহকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া এবং খলিস্তানি নেতার বিরুদ্ধে জোরালো কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় পঞ্জাবের আপ সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলো। এই প্রসঙ্গে আপের ব্যাখ্যা, অমৃতপাল যাতে নিজেকে ‘আক্রান্ত’ হিসাবে দেখাতে না পারেন, তার জন্য সংযত এবং যথোচিত পদক্ষেপ করেছে পঞ্জাব পুলিশ। তবে অমৃতপালদের উত্থানে পড়শি দেশ পাকিস্তানের হাত দেখছে রাজ্যের আপ সরকার। রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিভেদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণেই এই অবস্থা, এই অভিযোগ তুলে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy