পঞ্জাব সরকারের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২০ মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানের মন্ত্রিসভায় ‘প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত দফতর’-এর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কিন্তু আদতে পঞ্জাব সরকারে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও দফতরই নেই বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকারের মন্ত্রী কুলদীপ সিংহ ধারিওয়ালকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে পঞ্জাব রাজনীতিতে। বিজেপির পাশাপাশি সে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও বিঁধেছে মান সরকারকে। বিতর্কের আবহেই মান সরকার ‘প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত দফতর’ বিলোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে বিধানসভা ভোটে জিতে পঞ্জাবে সরকার গড়েছিল আপ। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মান ঘোষণা করেছিলেন, দ্রুত প্রশাসনিক সংস্কার করা হবে। সেই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অমৃতসরের নেতা ধারিওয়ালকে। কিন্তু বাস্তবে এমন কোনও দফতর গড়া হয়নি বলে অভিযোগ। দিল্লির বিধানসভা ভোটে আপের ভরাডুবির পরে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের সরকার নতুন করে পঞ্জাবে প্রশাসনিক রদবদল শুরু করেছে। আর তখনই বিষয়টি ‘নজরে’ এসেছে!
২১ জন আইপিএস অফিসারের বদলি, মন্ত্রীদের দফতর রদবদল-সহ নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে মান সরকারের তরফে। কিন্তু গোল বেধেছে মুখ্যসচিবের দফতর থেকে এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি ‘গেজেট নোটিফিকেশন’ প্রকাশের পর। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২০ মাস ধরে ‘প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত দফতর’ এবং ‘অনাবাসী বিষয়ক দফতর’ সামলেছেন ধারিওয়াল! তিনি এ বার থেকে শুধু ‘অনাবাসী বিষয়ক দফতর’-এর দায়িত্বে থাকবেন জানিয়ে ‘প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত দফতর’ বিলুপ্তির ঘোষণাও রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। বিজেপির সাইবার সেলের নেতা অমিত মালবীয় প্রশ্ন তুলেছেন, যে দফতরের অস্তিত্বই নেই, তাতে ২০ মাস ধরে এক জন মন্ত্রী কী কাজ করছিলেন!