সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে। চুলের মুঠো ধরে হ্যাঁচকা টান, একের পর এক থাপ্পড়, এমনকি স্টিলের গ্লাস দিয়েও মারা হয় বৃদ্ধাকে। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বধূর হাতে মার খেতে খেতে হাঁপাচ্ছেন বৃদ্ধা। পঞ্জাবের গুরদাসপুরের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে সে রাজ্যের মহিলা কমিশন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত বৃদ্ধা গুরবচন কউরের স্বামীর কয়েক মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে। গুরবচনের স্বামী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর উপর এই অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, পুত্রবধূ হরজিৎ কউর চাইছিলেন শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি নিজের নামে করে নিতে। সেই নিয়েই শাশুড়ির উপর চাপ দিতেন তিনি। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে তিনি বৃদ্ধাকে শারীরিক এবং মানসিক হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।
কয়েক দিন আগেও একই ভাবে হরজিৎ শাশুড়িকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় বৃদ্ধার নাতি পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ অনুসারে, বৃদ্ধার নাতির বক্তব্য, তাঁর মা হরজিৎ প্রায়শই মদ্যপান করেন। ওই সময়ে তাঁর বাবা এবং ঠাকুরমা— উভয়কেই মা মারধর করেন। সম্প্রতি ওই মারধরের ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করার সময়েও মাকে থামার জন্য অনুরোধ করেন বৃদ্ধার নাতি। কিন্তু লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন:
ওই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে পঞ্জাবের মহিলা কমিশন। ঘটনাটি কোনও অভিজ্ঞ আধিকারিককে দিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য কমিশন চিঠিও লিখেছে গুরদাসপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপারকে। তদন্তের পরে কী উঠে এল, সে বিষয়ে রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে।