তিরুপতি মন্দির। — ফাইল চিত্র।
তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানো ঘিয়ের ব্যবহার নিয়ে চলছে দেশজোড়া বিতর্ক। তার মাঝেই এ বার মন্দিরে অনুষ্ঠিত হল শুদ্ধিকরণ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয় তিরুমালা মন্দিরে। রোজকার মতোই ছিল ভক্তসমাগম। আগামী ৪ অক্টোবর থেকেই সে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মোৎসব উপাচার। আগামী ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। শেষ দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘চক্রস্নান’ আচারও। তাই আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। চলছে ত্রৈমাসিক শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান। বছরে চার বার এমন শুদ্ধিকরণ হয় মন্দির চত্বরের। এই আচারটি ‘কৈল আলওয়ার থিরুমঞ্জনম’ নামে পরিচিত। ‘থিরু’ কথার অর্থ পবিত্র, ‘মঞ্জনম’ কথার অর্থ স্নান। অর্থাৎ ‘থিরুমঞ্জনম’ হল মন্দির চত্বরকে পবিত্র জলে ধোওয়ার রীতি। যে কোনও ধর্মীয় উৎসবের আগেই মন্দির শুদ্ধিকরণের এই রেওয়াজ রয়েছে।
সম্প্রতি তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছেন চন্দ্রবাবু। অভিযোগ, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-তে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে পাল্টা চিঠি লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। শেষমেশ লাড্ডু বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এ সব বিতর্কের জেরে অবশ্য ভক্তসমাগমে টান পড়েনি। মঙ্গলবার সকালেও মন্দিরে ছিল ভক্তদের ভিড়। তার মাঝেই মন্দির চত্বরে আয়োজিত হল শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy