পুদুচেরিতে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল গাঁধী। ছবি—পিটিআই।
‘সমুদ্রের কৃষক’। পুদুচেরির মৎস্যজীবীদের এই আখ্যা দিয়েই আজ সেখানে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘পরের বার এলে আপনাদের নৌকায় চড়ে সমুদ্রে যেতে চাই। বুঝতে চাই, কোন পরিস্থিতিতে আপনারা কাজ করেন।’’
মে মাসে ভোটের আগেই একাধিক বিধায়কের ইস্তফার কারণে সঙ্কটের মুখে পুদুচেরির কংগ্রেস সরকার। অতীতে পুদুচেরির সদ্য-প্রাক্তন উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর নানা বিষয়ে সংঘাত বেধেছে। সেই প্রসঙ্গে নাম না-করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধে রাহুল আজ বলেন, ‘‘উপরাজ্যপালের দফতরের মাধ্যমে ‘তিনি’ বারবার আপনাদের একটাই বার্তা দিয়েছেন যে, আপনাদের ভোটের কোনও গুরুত্ব নেই।... আজ এক জন ভারতীয়কে বিচার চাইতে গেলে ভয় পেতে হয় যে, তাঁর সঙ্গে কী কী হতে পারে। সাংবাদিকেরা প্রাণের ভয় পান। সংসদে আলোচনা ছাড়া বিল পাশ হয়। কারণ, এক জন মনে করেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নন, দেশের রাজা।’’ একটি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশেও রাহুল বলেন, ‘‘তুমি যদি মানুষকে ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাও, তা হলে তুমি দেশের চরিত্র ও ভবিষ্যৎকে নষ্ট করছ। তরুণ প্রজন্মকে কেউ যেন ভয় দেখিয়ে চুপ করাতে না-পারে। সেটাই তাদের শক্তি।’’
আজ মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতাতেও কৃষি বিলের প্রসঙ্গ তোলেন রাহুল। বলেন, ‘‘এখানেও কেন কৃষকদের কথা বলছি? কারণ, আমি আপনাদের সমুদ্রের কৃষক বলে মনে করি। মাটির কৃষকদের জন্য যদি দিল্লিতে একটি মন্ত্রক থাকতে পারে, তা হলে সমুদ্রের কৃষকদের জন্য তা থাকবে না কেন?’’ রাহুল এই দাবি তোলার পরে কটাক্ষের
সুরে তাঁকে ট্যাগ করে ইতালীয় ভাষায় টুইট করেন কেন্দ্রীয় মৎস্য, দুগ্ধ ও পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। লেখেন, ‘‘কারো (প্রিয়) রাহুল, ইটালিতে আলাদা মৎস্য মন্ত্রক নেই। তা কৃষি ও বনপালন নীতি বিষয়ক মন্ত্রকের আওতায় পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy