রাহুল গাঁধী।
মোদী জমানায় দলিতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বেড়েছে বলে অভিযোগ ছিলই। তাকে হাতিয়ার করে, দলিত নেতাদের পাশে টেনে গুজরাতের ভোটে ফায়দাও পেয়েছে কংগ্রেস। এ বার লোকসভা ভোটের আগে দলিতদের পাশে পেতে দিল্লিতে দলিত মহাসম্মেলন ডাকছেন রাহুল গাঁধী। আগামী ২৩ এপ্রিল তালকাটোরা স্টেডিয়ামে কংগ্রেসের আয়োজনে ওই সম্মেলনে অন্যান্য দলের দলিত নেতাদেরও আহ্বান জানানো হবে।
রাহুলের এই পরিকল্পনায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ এই মুহূর্তে দলিত প্রশ্নে তাঁরা কিছুটা বেকায়দায়। মোদী সরকার কেন সুপ্রিম কোর্টে দলিত নির্যাতন বিরোধী আইন লঘু করার পক্ষে সায় দিয়েছে, তা নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণ করছেন। রাহুল নিজে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করেছেন। গত কালই কর্নাটকে খোদ অমিত শাহকে এই প্রশ্নেই দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। কর্নাটকের বিজেপি নেতা অনন্তকুমার হেগড়ে দলিতদের ‘কুকুর’ বলে সংবিধান সংশোধনের কথা বলেছিলেন। তার প্রতিবাদেই কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। অথচ দলিতদের ক্ষোভ মেটানোর জন্যই ওই সভা ডাকা হয়েছিল।
গত কালের পর অমিত শাহকে আজ ফের বলতে হয়েছে, হেগড়ের মন্তব্যের সঙ্গে দল একমত নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবিধানে বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, হেগড়ের সঙ্গে একমত না হলে তিনি কেন্দ্রে মন্ত্রী কেন!
দলিতদের কাছে টানতে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার অম্বেডকরের নাম ভীমরাও রামজি হিসেবে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আজই আবার ইলাহাবাদে অম্বেডকরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। দলিতদের প্রতি বিজেপির নীতি নিয়ে অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী একসুরে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। মায়ার যুক্তি, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে বাবাসাহেবের পরিচিতি বদলে না দিয়ে বিজেপি বরঞ্চ দলিত বিরোধী মামলাগুলিতে দোষীদের শাস্তি দিক।’’ এই ক্ষোভ কাজে লাগিয়েই সবাইকে একজোট করতে চাইছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy