মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় ৪০ বছর। এ বার ১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী দাঙ্গার নিন্দায় সরব হলেন রাহুল গান্ধী। ওই ঘটনাকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ জানালেন, কংগ্রেসের অতীতের সব ভুলের দায় নিতে তিনি প্রস্তুত।
সপ্তাহ দুয়েক আগে আমেরিকার ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে এক শিখ পড়ুয়া তাঁকে কংগ্রেস আমলে হওয়া শিখবিরোধী দাঙ্গা নিয়ে প্রশ্ন করেন। ওই পড়ুয়া রাহুলের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা শিখদের মধ্যে ভয় তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, যা আমরা অতীতে কংগ্রেস আমলে পাইনি।” প্রশ্নোত্তর সম্বলিত সপ্তাহ দুয়েক আগের এই ভিডিয়োটি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রবিবার এটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালবীয়।
শিখ পড়ুয়ার প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, “আমি প্রকাশ্যে বলছি যে, ৮০-র দশকে যা হয়েছে, তা ভুল। আমি বহুবার স্বর্ণমন্দিরে গিয়েছি। ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেসের বহু ভুল সম্পর্কে আমি অবহিত। কিন্তু সেগুলির অনেকগুলিই ঘটেছে, যখন আমি সেখানে (দলে) ছিলাম না। কিন্তু অতীতে কংগ্রেস যা যা ভুল করেছে, আমি তার দায় নিতে প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত, আশির দশকে বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে পঞ্জাব। বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালে এবং তাঁর সশস্ত্র দলবলকে ঘায়েল করলে ১৯৮৪ সালে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সামরিক অভিযান চালায় ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস সরকার।
আরও পড়ুন:
এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন ব্লু স্টার’। কিন্তু পবিত্র ধর্মস্থানে এই সামরিক অভিযান ভাল ভাবে নেননি শিখদের একাংশ। ওই বছরই শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারান ইন্দিরা। তার পরেই দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয় শিখবিরোধী দাঙ্গা। দাঙ্গায় কেবল দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকাতেই ৩০০০ জন শিখের মৃত্যু হয়। এই হিংসাত্মক ঘটনায় নাম জড়ায় সজ্জন কুমার, জগদীশ টাইটলারের মতো সেই সময়ের প্রথম সারির কংগ্রেস নেতাদের।