দলিত থেকে আদিবাসী, কর্নাটক থেকে ছত্তীসগঢ়— লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের পায়ের তলার জমি শক্ত করতে রাজ্যে রাজ্যে ছুটছেন রাহুল গাঁধী।
আগামী সপ্তাহে একই সঙ্গে দলিত ও আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টায় মাঠে নামছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের লক্ষ্য দু’টি। এক দিকে ‘দলিত নির্যাতন বিরোধী আইন’ মোদী সরকার লঘু করছে বলে আক্রমণ শানানো। অন্য দিকে পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে আদিবাসীদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করা। প্রথম লক্ষ্যে ২৩ এপ্রিল দিল্লি থেকে ‘সংবিধান বাঁচাও অভিযান’ শুরু করছেন রাহুল। দ্বিতীয় লক্ষ্যে তিনি যাচ্ছেন ছত্তীসগঢ়ে।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই নভেম্বরে সেখানে বিধানসভা ভোট। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কা দিতে ছত্তীসগঢ়কে পাখির চোখ করছেন রাহুল। ২৪ এপ্রিল রায়পুর ও আদিবাসী অধ্যুষিত সরগুজা জেলায় পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা নিয়ে সম্মেলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। এ সবের মধ্যেই কর্নাটকে ভোটের প্রচারে আরও তিন দফায় যাবেন রাহুল।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, রাজীব গাঁধীর আমলে ১৯৯৩-এর ২৪ এপ্রিল সংবিধান সংশোধন করে পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থা চালু হয়। তার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছত্তীসগঢ়ে রাজীব গাঁধী পঞ্চায়েতিরাজ সংগঠন দু’টি সম্মেলন করছে। দিল্লিতে তার এক দফা প্রস্তুতি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতা জানান, রাহুলের পাশাপাশি সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অশোক গহলৌত, মীনাক্ষি নটরাজন ওই বৈঠকে ছিলেন। রাহুল সেখানে আদিবাসীদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার ত্রুটি, নিয়ে আলোচনা করেন।
আজ দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা পি এল পুনিয়া বলেন, মোদী সরকার এক দিকে দলিত আইন লঘু করা রুখতে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা বলছে। অথচ ছত্তীসগঢ় সরকারই সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে দলিতদের উপর অত্যাচারে অভিযুক্তকেও জামিন, ঊর্ধ্বতন অফিসারের
অনুমতি সাপেক্ষে গ্রেফতারির কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy