Advertisement
E-Paper

রেমালের বৃষ্টিতে বন্যা অসমে, বিপদসীমার উপরে ব্রহ্মপুত্রের জল, ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ হাজার মানুষ

রেমাল পরবর্তী বৃষ্টিতে অসমের অন্তত আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাড়ছে নদীর জলস্তর। ভেসে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। বন্যায় অন্তত ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ২২:৫৮
বন্যাবিধ্বস্ত অসম, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল।

বন্যাবিধ্বস্ত অসম, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। ছবি: পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরবর্তী সময়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। রেমাল শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তার প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই অংশে। ফলে ব্রহ্মপুত্র, বরাকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদীর জল দু’কূল ছাপিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। অসমের বন্যায় ইতিমধ্যে ৪২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে খবর।

রেমাল পরবর্তী বৃষ্টিতে অসমের অন্তত আটটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্রমে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বাড়ছে নদীর জলস্তর। বৃহস্পতিবারও ব্রহ্মপুত্র, বরাক এবং তার উপনদীগুলির জল বিপদসীমার উপরে ছিল। এর ফলে অসমের নগাঁও, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, দিমা হাসাও, পশ্চিম কার্বি আংলং, কাছাড়, গোলাঘাটের মতো জেলা বন্যার কবলে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাহত পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

অসমে বৃষ্টি এখনও থামেনি। আবহাওয়ারও উন্নতি হয়নি। বরাক উপত্যকায় থমকে গিয়েছে জীবনযাত্রা। এখনও পর্যন্ত রেমাল পরবর্তী পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের প্রত্যেকেই বন্যার জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া, মঙ্গলবার থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন জখম হয়েছেন আবহাওয়াজনিত কারণে।

২০২২ সালে প্রবল বন্যা হয়েছিল শিলচরে। এই মুহূর্তে সেখানেও পরিস্থিতি খুব একটা অনুকূল নয়। শিলচরের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে আছে। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা। বৃষ্টিতে হাফলং-শিলচর রোডের একাংশ ভেসে যাওয়ায় ওই রাস্তাটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক ভূমিধসের কারণে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসমের পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রাতে স্থানীয়দের চলাফেরাতেও জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। বন্যা পরিস্থিতি এবং আবহাওয়ার কারণে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে অসমে। অনেক ট্রেনের গতিবিধি সংক্ষিপ্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ।

বৃষ্টিতে ব্যাহত অসমের রাজধানী শহর গুয়াহাটির জীবনযাত্রাও। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যে কারণে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও ডিব্রুগড়, শোণিতপুর, বিশ্বনাথ, কাছাড়, গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, করিমগঞ্জ, দিমা হাসাওয়ের মতো জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছে অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Assam flood Cyclone Remal Cyclone Heavy Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy