আদালতের সময় নষ্ট করেছিলেন অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। তার পরই আদালত অবমাননার অভিযোগে ওই অভিযুক্তকে অভিনব শাস্তি দিলেন তিনি। ওই অপরাধীকে আদালতকক্ষের এক কোণে হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের কাজ যত ক্ষণ চলবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ওই ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বলেও জানিয়ে দেন ক্ষুব্ধ বিচারক। অভিনব এই শাস্তির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বার অ্যান্ড বেঞ্চ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি দিল্লির দ্বারকার এক আদালতের। বিচারক সৌরভ গয়ালের বেঞ্চে কুলদীপ নামে এক অভিযুক্তের মামলার শুনানি চলছিল। বিচারক জানতে পারেন, এই মামলার দু’বার শুনানি হয়। এই দু’বার শুনানির মধ্যেও জামিনের বন্ড পেশ করতে পারেননি অভিযুক্ত। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন জামিনের বন্ড জমা দিতে পারেননি, অভিযুক্তের কাছে এই প্রশ্ন করেন বিচারক।
সকাল ১০টা থেকে ১১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে এই মামলার দু’বার শুনানি হয়। কেন ওই সময়ের মধ্যে জামিনের বন্ড পেশ করা যায়নি, কেন আদালতের সময় নষ্ট করা হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি যা করেছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। তার পরই বিচারক নির্দেশ দেন, যত ক্ষণ আদালত চলবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত আদলত কক্ষের কোনায় হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকবেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্তকে আদালতের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারক। তার পর অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।