মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের যুবক রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সোনম রঘুবংশীর নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ। তার পরেই সোনমের ফাঁসির দাবিতে সরব হল রাজার পরিবার। শুধু সোনম নন, এই হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানো প্রত্যেক অভিযুক্তেরই কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।
মেঘালয় পুলিশ শুক্রবার আদালতে রাজা-হত্যাকাণ্ডে ৭৯০ পাতার চার্জশিট জমা করে। সূত্রের খবর, কী ভাবে খুনের ঘটনা সংগঠিত করা হয়, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে চার্জশিটে। পাশাপাশি, এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সোনমের নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ। চার্জশিটে দাবি করা হয়, সোনমই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। সোনমের চোখের সামনেই তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা রাজাকে খুন করেন! সোনম এবং রাজ ছাড়াও চার্জশিটে রয়েছে আকাশ রাজপুত, আনন্দ কুর্মি এবং বিশাল সিংহ চৌহানের নামও। রাজাকে খুনের ঘটনায় রাজকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ১০৩ (১), ২৩৮ (এ) এবং ৬১ (২) ধারার অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার ভিত্তিতে চার্জগঠন করা হয়েছে আদালতে। পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম জানিয়েছেন, ‘‘চার্জশিটের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।’’ পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও জানান বিবেক।
পুলিশের চার্জশিট দাখিলের পর রাজার দাদা বিপিন রঘুবংশী বলেন, ‘‘আমাদের একটাই দাবি— সোনম এবং রাজ-সহ পাঁচ জনেরই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।’’ তিনি আরও জানান, এখনও তাঁরা বিস্তারিত চার্জশিট দেখেননি। তবে পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান রাজা এবং তাঁর স্ত্রী সোনম। ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয়। রাজাকে খুনের অভিযোগে সোনমের প্রেমিক, তিন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় সোনমকে। এই হত্যকাণ্ড গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে ছিল রহস্য। কী ভাবে মধুচন্দ্রিমায় নিয়ে গিয়ে রাজাকে খুন করা হবে, তার পরিকল্পনা ছকা হয়েছিল, কী ভাবে তা বাস্তবায়িত করা হয় এবং শেষে অভিযুক্তদের গা-ঢাকা দেওয়ার মতো নানা বিষয় উঠে এসেছিল। পুলিশ চার্জশিটে সেই সব বিষয়ই বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করেছে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।