রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠক হয় দু’জনের। রাষ্ট্রপতির সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলে সেই বৈঠকের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাচক্রে, কিছু দিন আগেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সেরে দেশে ফিরেছেন মোদী। তার পরে ভারত প্রসঙ্গে ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। মোদীও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ইতিবাচক বক্তব্যের তিনি প্রতিদান দেবেন। কূটনৈতিক এই সমীকরণের আবহে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে গত সপ্তাহে জাপান হয়ে চিন সফরে গিয়েছিলেন মোদী। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ওই সম্মেলন সেরে দেশে ফিরেছেন তিনি। চিন সফরকালে সে দেশের প্রেসিজেন্ট জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠক করেছেন তিনি। আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে ওই সফর ঘিরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও শুক্রবার সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমরা ভারত আর রাশিয়াকে গভীরতম, অন্ধকারতম চিনের কাছে হারিয়ে ফেলেছি।’
আরও পড়ুন:
যদিও সেই বয়ানবদল হতেও সময় লাগেনি। পরে হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, “ভারতকে হারিয়ে ফেলিনি তো! মোদী আমার খুব ভাল বন্ধু, সব সময় সে বন্ধুত্ব থাকবে। উনি খুব ভাল প্রধানমন্ত্রী। আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বিশেষ একটা সম্পর্ক রয়েছে। ভয়ের কিছু নেই।” আমেরিকার শুল্ক নিয়ে কূটনৈতিক টানাপড়েনের আবহে ভারত প্রসঙ্গে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যকে ইতিবাচক বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মোদী। শনিবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদী লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে ওঁর ইতিবাচক বক্তব্যের প্রশংসা করছি। আমরা এর সম্পূর্ণ প্রতিদান দেব।’ তিনি আরও লেখেন, ‘ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক, ভবিষ্যৎমুখী এবং কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে।’