বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে চার্জশিট জমা দিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সেই চার্জশিটে দাবি করা হল, হামলাকারীদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল না বেঙ্গালুরুর ওই ক্যাফে। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বেঙ্গালুরুতে বিজেপির কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বানচাল হওয়ার পরেই হামলাকারীরা রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষেন! শুধু তা-ই নয়, ধৃতদের মধ্যে দু’জন টাকা পেতেন জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট) থেকে।
বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা, মুসাভির হুসেন শাজিব, মুজ়াম্মিল শরিফ এবং মাজ় মুনির আহমেদ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এনআইএ চার্জশিটে দাবি করেছে, ত্বহা এবং শাজিবকে টাকা পাঠানো হত ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। সেই টাকা বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হত বলেও দাবি এনআইএ-র।
গত ১ মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে ঢুকে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে আসেন এক ব্যক্তি। তাতে টাইমার সেট করা ছিল। এক ঘণ্টা পর হয় বিস্ফোরণ। তাতে ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় অভিঘাত তেমন জোরালো হয়নি। ৩ মার্চ ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল। ঘটনার ২৭ দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুজ়াম্মিলকে গ্রেফতারের পর থেকেই অন্য শাজিব এবং ত্বহার খোঁজ শুরু করে এনআইএ। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। মুজ়াম্মিলকে বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিলেন শাজ়িব। আর পুরো বিস্ফোরণ ঘটনার ছক কষেছিলেন আবদুল। এনআইএ আবদুলকেই বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলচক্রী বলে দাবি করে।